শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন,বর্তমান যুগে শিক্ষার পদ্ধতি অনেকরকম।পাঠ্যপুস্তকগুলো সাধারণত আকর্ষণীয় হয় না।এজন্য পাঠ্যপুস্তক যাতে আরও প্রাঞ্জল হয় সেসব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি।চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।অনেক অনিশ্চিয়তা থাকলেও আমরা সে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।
আজ শনিবার দুপুরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে সায়েন্স ক্লাব আয়োজিত ৮ম জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন,শেখা হবে আনন্দময়।যদি কোনো বিষয় আনন্দ নিয়ে শেখা যায়,তাহলে তার চারপাশের পরিবেশ আরও সুন্দর হবে।অনন্দের সাথে শিখলে নতুন দক্ষতা গড়ে উঠবে।শিক্ষকের মূল যে দায়িত্ব তা হলো শিক্ষার্থীদেরকে অনুসন্ধিৎসু করে তোলা।শিক্ষার্থীদের ভিতরে জ্ঞানের পিপাসা জাগ্রত করে দিতে হবে।যদি এমনটা করা যায় তাহলে শিক্ষার্থী নিজে নিজেই শিখতে আগ্রহবোধ করবে।
তিনি আরও বলেন,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা হয়,পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চা,বিজ্ঞান চর্চা হয়ে থাকে।আমাদের চারপাশে যা ঘটছে তা বুঝতে হলে গণিত বুঝতে হবে।এই অলিম্পিয়াডগুলো গণিতের প্রতি শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা তৈরি করে।এই প্রতিযোগিতামূলক অলিম্পিয়াডে শহর,গ্রাম সমস্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে।যা প্রমাণ করে গণিত স্থান-কাল-পাত্র ভেদে হয় না।গণিত সর্বজনীন।
গণিতের মাঝে বিজ্ঞানের বাস,গণিতে করি মেধার বিকাশ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত শুক্রবার (১ জুলাই) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব (জেইউএসসি) আয়োজিত ৮ম জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড-২০২২-এর ফল প্রকাশ করা হয়।অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের শনিবারের এ অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
শ্রেণি বিভাজনের ভিত্তিতে এবারের অলিম্পিয়াডে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৭টি ক্যাটাগরি ছিল।এতে দেশের ২০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৬০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ নাম্বার পাওয়া প্রথম পাঁচজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।সে হিসেবে সাত শ্রেণি থেকে ৩৫ জন কে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ বলেন,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য দৃষ্টান্ত যেখানে ভালো লেখাপড়া হয়,গবেষণা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.নূরুল আলম বলেন,প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব এবং সাহসিকতায় পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন হয়েছে।মেট্রোরেল হয়েছে।তিনি দেখিয়েছেন আমরাও পারি।২০৪১ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলবে।দেশে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে উন্নয়ন হয়নি।জাবিতেও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।১৪৪৫ কোটি টাকার উন্নয়নের বাজেট দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী যা কোনো সরকার দিতে পারেনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো.মনজুরুল হক,ট্রেজারার অধ্যাপক ড.রাশেদা আখতার,গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.অজিত কুমার মজুমদার,ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড.এ এ মামুন এবং ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পরিচালক অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ আলমগীর কবির প্রমুখ।