একটি বেসরকারি সংস্থার মাঠকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন সুমি আক্তার।মানিকগঞ্জ জজ কোর্টের এক আইনজীবীর সহকারী রাসেল মোল্লা রূপকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।কথা ছিল,বিয়ের পরও তিনি চাকরি চালিয়ে যাবেন।কিন্তু বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মত পাল্টে যায়।তারা চাকরি ছাড়ার জন্য সুমিকে চাপ দিতে থাকেন।সুমি তাতে রাজিও ছিলেন।কিন্তু চাকরি ছাড়ার জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন ছিল।এরই মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করেন স্বামী।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে বিয়ের মাত্র আড়াই মাসের মাথায় তরুণীকে হত্যার ঘটনা তদন্তের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে বুধবার সকালে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান,গত ২১ জুলাই মানিকগঞ্জের ঘিওর থানা এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে সুমির গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তদন্তের ধারাবাহিকতায় আসামি রূপককে মঙ্গলবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,দুই পরিবারের সম্মতিতেই তাদের বিয়ে হয়।বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুমিকে চাকরি ছাড়ার জন্য চাপ দিলে তিনি রাজি হন।তিনি জানান,চাকরি ছাড়ার কথা এরইমধ্যে অফিসে জানিয়েছেন।অফিস তার বিকল্প দক্ষ কর্মী খুঁজছে।বিকল্প না পাওয়া পর্যন্ত তাকে চাকরি না ছাড়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।তারপরও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানাভাবে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন সকালে চাকরি ছাড়ার বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।এক পর্যায়ে স্বামী তাকে কিল-ঘুষি,লাথি মারতে থাকলে শাশুড়ি বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালান।কিন্ত রূপক আরও উত্তেজিত হয়ে ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে সুমির গলায় কোপ দেন।এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।এ ঘটনায় নিহতের বাবা রহম আলী বাদী হয়ে ঘিওর থানায় মামলা দায়ের করেন।