চলতি সংসদ ভেঙে দিয়ে সব প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দিন নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিলসহ ৪ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (১২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পুরানা পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত অন্যান্য বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সকল কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপনও করা হয়।
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম ঘোষিত চার দফা কর্মসূচি:
নির্বাচন কমিশন একতরফা তপশিল ঘোষণা করতে চাইলে তফসিল ঘোষণার দিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করা হবে।
তপশিল ঘোষণার পর দিন সারাদেশে প্রতিটি জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।
আন্দোলনরত অন্যান্য বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সকল কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন।
জাতীয় সংকট নিরসনে সকল রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিকে নিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছিলো ইসলামী আন্দোলন। এই দাবি মানা না হলে আন্দোলনরত সকল বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তীতে কঠোর ও বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণার কথা জানানো হয়।