ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর চার মাসে দখল করা এলাকা মাত্র চারদিনে মুক্ত করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এতে রাশিয়ার অর্জন ধূলিসাৎ হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষক নিকোলেই মিত্রখিন। তবে তিনি বিপদের শঙ্কা উড়িয়েও দিচ্ছেন না।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের খারকিভ অঞ্চলে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর পাল্টা আক্রমণের গতি বিপদ কমানোর জন্য যথেষ্ট নয়।
যুদ্ধের পরিস্থিতি সম্পর্কে এ বিশ্লেষক বলছেন, ৩৬টি শহর ও গ্রাম রুশ সেনাদের হাত থেকে মুক্ত করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। রাশিয়ার সৈন্যরা পূর্বদিকে পালিয়ে যাচ্ছেন এবং কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও নিচ্ছেন না।
জার্মানির ব্রিমেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাশিয়ান এ বিশেষজ্ঞ বলেন, মাত্র চারদিনের মধ্যে রাশিয়ার চার মাসের সাফল্য ধূলিসাৎ হয়েছে। এতে অনেক মূল্য দিতে হয়েছিল রুশ সেনাদের। কিন্তু ইউক্রেনের এ গতিতে রাশিয়ার সীমান্তঘেঁষা এবং লুহানস্কো পিপলস রিপাবলিকানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাশের এলাকাগুলো সহজ অর্জন প্রশ্ন জাগিয়ে তুলছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর তথ্যানুযায়ী এবং ঐ এলাকার ভিডিও ফুটেজ অনুসারে, রুশ সেনারা কোনো গোলাবারুধ বা অস্ত্রে সজ্জিত কোনো গাড়ি রেখে পালায়নি। অতি শক্তিশালী এলাকা ছেড়ে যাওয়াকে ভীতিকর গমন মনে হচ্ছে না।
রাশিয়ার সীমান্তের সঙ্গে দখলমুক্ত ইজিয়াম ও কুপিয়ানস্ক শহরের সঙ্গে একটি সরু পথ রয়েছে। মিত্রখিন বলেন, সেই সরু পথটি কিন্তু রুশ সেনাদের যেতে কোনো বাধা সৃষ্টি করেনি। তাদের কিন্তু দখলমুক্ত এলাকা ছাড়তে ঘণ্টা নয়, কয়েকদিন লেগেছে।
তার মতে, এসব এলাকা ছাড়ার দ্রুত সিদ্ধান্ত ইঙ্গিত দেয় যে, রুশ সেনারা বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত এলাকা তাবু করবে।
মিত্রখিন বলছেন, রাশিয়ার শীর্ষ পদের নির্দেশে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় খারকিভ থেকে পুরোপুরিভাবে সৈন্যদের প্রত্যাহার করেছে। সেই সৈন্য ও অস্ত্র দোনেস্ক ও লুহানস্কের সীমান্তে রাখা হবে।
তিনি বলেন, এ অবস্থা গত এপ্রিলে ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চল ছাড়ার রিমেক মাত্র। সেই তালিকায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ছিল।
গত এপ্রিলে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন রাশিয়া হিসাব-নিকেশে ভুল করছে নতুবা সৈন্য ও সামরিক সরঞ্জাম খুইয়েছে।