শতভাগ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে পার্শিয়াল শিপমেন্টে (আংশিক চালান) ভারত থেকে সুতা আমদানি করতে পারবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।
এর আগে একটি আংশিক চালানে শুধু চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করার অনুমোদন ছিল। এর বাইরে অন্যান্য বন্দর থেকে সুতা আমদানিতে এক বা একাধিক শিপমেন্টের ক্ষেত্রে সুতা আমদানির অনুমতি ছিল। দীর্ঘদিন ধরে পোশাক ও টেরি টাওয়েল রপ্তানিকারকরা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সব স্থলবন্দর দিয়ে তুলা, সুতা ও কাপড়সহ কাঁচামাল আমদানির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর এই আদেশ জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, বৈধ বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্সধারী রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শর্তসাপেক্ষে এই সুবিধা ভোগ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাদের ব্যাক-টু-ব্যাক লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) এর মাধ্যমে সুতা আমদানি করতে হবে এবং কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট অফিসের জারি করা বার্ষিক আমদানি এনটাইটেলমেন্ট অনুসরণ করতে হবে।
অন্যান্য শর্তের মধ্যে রয়েছে বন্ড কমিশনারেট থেকে প্রাপ্ত বৈধ বন্ড লাইসেন্সের বিপরীতে লাইসেন্সের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে সুতা আমদানিযোগ্য হবে, বন্ড কমিশনারেট কর্তৃক নির্ধারিত বার্ষিক আমদানি প্রাপ্যতার ভিত্তিতে আমদানি করা, পণ্যের শুল্কায়নকালে ওজন নিশ্চিত করা, দৈবচয়নের ভিত্তিতে পণ্যের কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করা, ইউডির বিপরীতে আমদানি সমন্বয়যোগ্য করা। এছাড়া রপ্তানিকারককে খালাসোত্তর আমদানি তথ্য বেনাপোল কাস্টম হাউসকে একটি নির্দিষ্ট ছকে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেট এবং ব্যাংককে তাত্ক্ষণিকভাবে ইমেইলে জানাতে হবে।
এই সুবিধা পাওয়ার পরপরই গত বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এক চিঠির মাধ্যমে তাদের সদস্যদের এই সুবিধার কথা জানিয়েছে। বিজিএমইএ তার সদস্যদের দেওয়া চিঠিতে সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান উল্লেখ করেন, বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা কাস্টমস স্টেশনের মাধ্যমে সুতা আমদানির ক্ষেত্রে পার্শিয়াল শিপমেন্টের (আংশিক চালান) জটিলতা নিরসন করে আদেশ জারি করেছে। সুতা আমদানি ও আংশিক চালানের জটিলতা নিরসনের জন্য বিজিএমইএ থেকে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ জানিয়েছে। আদেশ জারির ফলে বেনাপোল ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা কাস্টম স্টেশনের মাধ্যমে সুতা আমদানি ও আংশিক চালানের জটিলতা পরিহার করে দ্রুততার সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্পাদন করা যাবে।