নানা অজুহাতে অ্যাপভিত্তিক ক্যাব বা গাড়ির আসতে দেরি হয়। আর তার জেরেই নির্দিষ্ট সময় পার করে গন্তব্যে পৌঁছনোর ঘটনা প্রায়ই ঘটে ভারতে। এমন ঘটনার জন্যই চেন্নাইগামী প্লেন ধরতে পারেননি মুম্বাইয়ের এক নারী আইনজীবী। তার খেসারত হিসেবে অ্যাপ সংস্থা উবারকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করল দেশটির ভোক্তা সুরক্ষা আদালত। যদিও উবারের দাবি, তারা শুধু চালকের সঙ্গে গ্রাহকের যোগাযোগ করিয়ে দেয়। চালকের ভুলের দায় কেন সংস্থা নেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তারা। তবে তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। গত চার বছর ধরে আইনি লড়াই শেষে জয়ী হন মুম্বাইয়ের আইনজীবী কবিতা শর্মা।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১২ জুন বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে চেন্নাইগামী প্লেনের টিকিট কাটা ছিল কবিতার। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর জন্য দুপুর ৩টা ২৯ মিনিটে উবার ব্যবহার করে ক্যাব বুক করেছিলেন তিনি। একাধিকবার ফোন করার পর ১৪ মিনিট দেরিতে উবারের ক্যাব পান তিনি। আইনজীবীর অভিযোগ, ক্যাবের চালক ফোনে ব্যস্ত ছিলেন। বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়ার পর রাস্তা ভুল করে বসেন চালক। তার ওপর গাড়িতে সিএনজি গ্যাস নিতে একটি পাম্পেও ঢোকেন। ফলে আরো ১৫-২০ মিনিট দেরি হয়। সব মিটিয়ে বিকাল ৫টা ২৩ মিনিটে বিমানবন্দরে পৌঁছায় ক্যাবটি। ততক্ষণে বিমানে ওঠার ফাইনাল কল হয়ে যায়। ফলে পরের বিমানের টিকিট কাটতে হয় কবিতাকে।
এদিকে ক্যাব বুক করার সময় কবিতা শর্মাকে ভাড়া দেখিয়েছিল ৫৬৩ রুপি। অথচ বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর চালককে দিতে হয় ৭০৩ রুপি। পুরো বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালে অতিরিক্ত ১৩৯ রুপি ফেরত পান মুম্বাইয়ের ঐ আইনজীবী। কিন্তু বিমান যে মিস করলেন, তার কী হবে? পরের বিমানের টিকিটের অর্থ কে দেবেন? এরপরই উবারকে একটি আইনি নোটিশ পাঠান তিনি। জবাব না মেলায় ভোক্তা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন কবিতা।
অবশেষে চার বছরের আইনি লড়াইয়ে জয় পেলেন আইনজীবী কবিতা শর্মা। অ্যাপ ক্যাব সংস্থাটিকে ২০ হাজার রুপি জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর মধ্যে তাকে মানসিক হেনস্তার জন্য ১০ হাজার ও আইনি খরচ স্বরূপ আরো ১০ হাজার রুপি দিতে বলা হয়েছে।