বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ডক্টর মোঃ বাহারুল ইসলাম ও তার দল আন্তজার্তিক বৈজ্ঞানিক চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিয়ায় অংশগ্রহন করে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন।
সম্প্রতি, ডক্টর মোঃ বাহারুল ইসলাম ও তার দল আন্তর্জাতিক অ্যাক্টিভিটি এবং বিহ্যাভিয়র কম্পিউটিং এর উপর আয়োজিত পার্কিনসন’স রোগ চ্যালেঞ্জে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রন করে,যা জার্মানীর কাইজারসলাউটের্নে ৭ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
পার্কিনসন রোগীদের প্রয়োজনীয় সময়ের আগে তাদের রোগের লক্ষণগুলি প্রকাশিত হয়। সময়ের সাথে সাথে এটা ঔষধের কার্যক্ষম সময় হ্রাস করে। এ পরিস্থিতি রোগীদের মধ্যে অনেক অসুবিধা সৃষ্টি করে। তাই রোগীদের এবং চিকিৎসকদের পুনরায় ঔষদের কার্যকারীতার পরিবর্তনগুলি মনিটর করতে হবে। পার্কিনসন’স রোগ হলো ধীরে ধীরে অগ্রগতি করে যাওয়া একটি তন্ত্রিক তন্ত্র অস্থিরতার অবস্থা, যা ডোপামিন উৎপন্ন করে মস্তিষ্কস্থ কণ্ঠ কোষগুলির হারানোর ফলে ঘটে। প্রাথমিকভাবে রোগীর চলন শক্তি প্রভাবিত করে, তবে সময়ের সাথে এটি অসময়ের কার্যক্ষমতায় প্রভাব ফেলে। এটি রোগীদের কম্পন হাঁটাচলার সমস্যা করে থাকে। তাছাড়া, এটি রোগীদের ঘুম, কথা বলার এবং মানসিক কার্যক্ষমতার অসুবিধা করে, তাদের জীবনের স্বাভাবিক কর্মগুলোকে খারাপ ভাবে প্রভাবিত করে।
এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য ছিল আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে রোগীদের সম্ভাব্য সমস্যার পূর্বাভাস প্রদান করা। এই প্রতিযোগিতায় ১৮টা দল তাদের আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স মডেল এবং ফলাফল জমা দিয়েছিল। নির্ধারিত মাপকরণের ভিত্তিতে আন্তজার্তিক বিচারকদের সম্পূর্ণ মৌলিক পরিক্ষা পার করার পর, ডক্টর মোঃ বাহারুল ইসলামের দল প্রথম স্থান অর্জন করে। চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে, তাদের নগদ অথ র্পুরস্কার, একটি ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ডক্টর মোঃ বাহারুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ফ্লোরিডা গলফ কোস্ট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে কাজ করছেন।
তিনি বাংলাদেশের মাগুরা জেলা়র মোহাম্মাদপুর থানার রো-নগর গ্রামের সন্তান। তিনি বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়া এবং আমেরিকায় লেখাপড়া করেছেন।