যুক্তরাষ্ট্র, মালেয়শিয়া, সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড ও ব্রিটেনকে সাথে নিয়ে ব্রিটেন ও কমনওয়েলথের ৪টি এশীয় সদস্য ফাইভ পাওয়ার ডিফেন্স অ্যারেঞ্জমেন্টস (এফপিডিএ) সম্প্রসারণ এবং পুনরায় সক্রিয় করার প্রচেষ্টার ঘোষণা দিয়েছে। এফপিডিএ ৫১ বছরের পুরোনো পারস্পরিক সহায়তা চুক্তির একটি ধারাবাহিকতা।
মূল অংশে চুক্তিটি এর সদস্যের ওপর সশস্ত্র আক্রমণের ঘটনা বা হুমকির ক্ষেত্রে একে অপরের সাথে পরামর্শ করার এবং যৌথভাবে বা পৃথকভাবে কী ব্যবস্থা নেয়া উচিত তা পারস্পরিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। সামরিক হস্তক্ষেপের কোনো সুনির্দিষ্ট বাধ্যবাধকতা এতে নেই।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা গ্যারান্টি বাতিল করার পরে ১৯৭১ সালে চুক্তিটি করা হয়েছিল। তখন এটি মালায়া নামে পরিচিত ছিল।
রোববার সিঙ্গাপুরে শেষ হওয়া ৩ দিনের শাংরি-লা সংলাপের অর্থাৎ এফপিডি-র প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে প্রাতঃরাশের সময় পার্শ্ব আলোচনায় এ ব্যাপারটি উঠে আসে।
২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত কোয়াড এবং ২০২১ সালের নিরাপত্তা চুক্তি অকাস-এর কারণে এফপিডিএ নতুন করে আগ্রহ জাগায়। কোয়াড হলো অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি অনানুষ্ঠানিক নিরাপত্তা সংলাপ। অকাস যুক্তরাষ্ট, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার একটি নিরাপত্তা চুক্তি।
তাইওয়ান এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ অংশে চীনের এখতিয়ারের দাবি নিয়েও ওই অঞ্চলে উদ্বেগ অব্যাহত রয়েছে।