তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জঙ্গি ধরলেই বা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই দেখি মির্জা ফখরুল সাহেব কিংবা বিএনপি নেতারা সেটির বিরুদ্ধে কথা বলে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে- জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তাদের গাত্রদাহ হয় কেন।
বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতর সম্মেলন কক্ষে ‘শেখ মুজিবুর রহমান থেকে জাতির পিতা’ আলোকচিত্র সংকলন এবং ‘রক্তাক্ত মাগুরা : প্রেক্ষিত-মুক্তিযুদ্ধ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,বিএনপির যে জোট, সেই জোটের মধ্যেই জঙ্গিরা আছে। বিএনপি নিজেই একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কানাডার আদালত কর্তৃক পরপর পাঁচবার রায় পেয়েছে।আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিএনপিকে টায়ার-ফোর সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সুতরাং তারা নিজেরা যেহেতু সন্ত্রাসী,সে জন্য কোনো জঙ্গি ধরলে তাদের গাত্রদাহ হয়।
বিএনপির দু’টি টেলিভিশনের টকশো বর্জনের ঘোষণা নিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এতে তারা সেখানে গিয়ে কথা বলার সুযোগটা হারাচ্ছে।এখন দু’টি বর্জন করেছে, ক’দিন পর আরও চারটি বর্জন করে কি না,আরও ক’দিন পরে বলে কি না গণমাধ্যমই বর্জন করলাম,সেটিই আমার আশঙ্কা।
ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর যোগদান নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন,ব্রিকস উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট।সেখানে আমন্ত্রণ জানানোর মানেই হচ্ছে বাংলাদেশ যে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ সেটিকে স্বীকার করে নেওয়া।এই জোটে যোগ দিলে আমাদের অর্থনীতি আরো চাঙ্গা হবে এটিই স্বাভাবিক।
এর আগে ‘রক্তাক্ত মাগুরা : প্রেক্ষিত-মুক্তিযুদ্ধ’ গ্রন্থের লেখিকা বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুন নাহারকে ধন্যবাদ জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন,জেলাভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এক অনন্য দলিল। শামসুন নাহারের লেখা গ্রন্থটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।সেজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই,কৃতজ্ঞতা জানাই।পাশাপাশি ‘শেখ মুজিবুর রহমান থেকে জাতির পিতা’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ কিছু আলোকচিত্র সংকলনের জন্য নাছিমুল কামালকেও ধন্যবাদ জানাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার খালেদা বেগম,গ্রন্থকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুন নাহার,মোহাম্মদ নাছিমুল কামাল,প্রকাশক আবু হাশেম প্রমুখ।