গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন,একটি জাতির বিকাশ ঘটে শিক্ষা,সংস্কৃতি ও বিনোদনের মাধ্যমে।অথচ বর্তমান বাজেটে বিনোদন সংস্কৃতিতে বরাদ্দ মাত্র ০.৮ ভাগ।জনগণের জন্য যে বাজেট,সেই বাজেট সম্পর্কে ক্ষমতাসীনদেরই কোনো ধারণা নেই।বাজেট অনুমোদনের আগে জনগণের সামনে প্রকাশ করা উচিত ছিলো বলেও তিনি মনে করেন।
সোমবার গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন মিলনায়তনে একজন নাগরিকের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ বাজেটের তদবির ও গতানুগতিকতা নেই সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নিদের্শনা শীর্ষক প্রস্তাবনা নিয়ে এক সেমিনারে তিনি ভার্চুয়ালি এসব কথা বলেন।সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো.আবুল হোসেন।সম্প্রতি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও তদারকি কমিটির সভাপতি ও ট্রাস্টি ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী চলতি অর্থ বছরের বাজেট নিয়ে ওই প্রস্তাবনা পেশ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস. তাসাদ্দেক আহমেদ। এরপর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রস্তাবিত বিষয়ের উপর সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ফুয়াদ হোসেন। বিষয়টির উপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আতাউর রহমান খান।
সেমিনারে ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রস্তাবনার অর্থনৈতিক দিক তুলে ধরেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক শামীমা সুলতানা।
তিনি বলেন,সরকার একদিকে শিক্ষা খাতকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন আর অন্যদিকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর ১৫শতাংশ করারোপ করেছেন যা শিক্ষার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।যদি কর আরোপ করতেই হয় তাহলে এমপিওভুক্ত ও সরকারি স্কুল এবং কলেজের বেসরকারি ফান্ডে যে কোটি কোটি টাকা রয়েছে সেটার উপর করারোপ করতে হবে।এ ছাড়া বড় হাসপাতালকে ১০বছর আয়করমুক্ত রাখা ও অন্যদিকে ছোট ছোট হাসপতালগুলোর যন্ত্রপাতি আমদানির উপর অধিক কর ধার্য সরকারের দ্বিমুখী নীতি ও চিকিৎসা সেবার পথে অন্তরায়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ,বিভিন্ন অনুষদের ডিন,শিক্ষকরা অংশ নেন।