গত ৩১ মে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। কেকে নামেই যিনি বেশি জনপ্রিয়। প্রিয় গায়কের এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি কেউই। তার শেষযাত্রায় নেমেছিল মানুষের ঢল। আর যারা পৌঁছতে পারেননি তারা শেষ সম্মান জানিয়েছিল মোবাইলে বা টিভির পরদায় ভিডিও দেখেই।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ছিল কেকে’র জন্মদিন। বেঁচে থাকলে এদিন ৫৪ বছরে পা দিতেন তিনি। আর এই বিশেষ দিনে গায়কের পুরনো ছবির সঙ্গে মন খারাপ করা বার্তা শেয়ার করে নিলেন স্ত্রী আর কন্যা।
ইনস্টাগ্রামে গায়কের স্ত্রী জ্যোতি লিখলেন, ‘হ্যাপি বার্থ ডে সুইট হার্ট। ভালোবাসি, তোমায় ভীষণ মিস করি। খুব কষ্ট হয়।’
কেকে’র মেয়ে তামারাও একজন গায়িকা। ইনস্টায় বাবার সঙ্গে তোলা ছোটবেলার একটা ছবি শেয়ার করে তিনি লিখলেন, ‘হ্যাপি বার্থ ডে বাবা। খুব মিস করছি তোমায় আজ ৫০০ বার শুভেচ্ছা জানানো। মিস করছি ঘুম থেকে উঠেই তোমার সঙ্গে কেক খেতে বসে যাওয়া। আশা করি তুমি ওখানে বসে যত ইচ্ছে কেক এখন খেতে পারছ। চিন্তা করো না, আজ আমরা মাকে মন খারাপ করার এক ফোঁটা সুযোগও আজ দেব না। আমরা খুব বিরক্ত করব, যাতে রেগে যায়। আশা করব আজ আমাদের গান শুনতে পাবে তুমি। সব তোমার জন্য বাবা।’
হিন্দি, তামিল, তেলেগু, কানাড়া, বাংলা’সহ একাধিক ভাষায় গান রেকর্ড করেছিলেন কেকে। সিনেমার গায়ক হিসেবে কেকে’র অভিষেক কিংবদন্তি এ আর রহমানের মাধ্যমে। তামিল সিনেমা ‘কাধাল দেসাম’-এ প্রথম গান গেয়েছিলেন কেকে। এরপর ১৯৯৯ সালে বলিউডে অভিষেক হয় তার। প্রথম হিন্দি গানটির নাম ‘তাড়াপ তাড়াপ কে’।
তারপরের ইতিহাসটা কম-বেশি সবারই জানা। বলিউডের সিনেমায় অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক হয়ে ওঠেন কেকে। তার সুরেলা কণ্ঠে বহু গান নন্দিত হয়েছে। কোটি শ্রোতার মন জয় করে নিলেও কেকে খুব বেশি পরিচিত ছিলেন না। বরং নিজের মতো আড়ালেই থেকে গেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে রাতে কলকাতার নজরুল মঞ্চে গান গাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে। এরপর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন।