বাংলাদেশ-ভারতের দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে তৃতীয় দিনে বাংলাদেশকে ৫১৩ রানের টার্গেট দিয়েছিলো ভারত। জবাবে চতুর্থ দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ৪২ রান সংগ্রহ করে তৃতীয় দিন শেষ করেছিলো বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের শুরুতে অনবদ্য ব্যাটিং করতে থাকেন দুই অপরাজিত ব্যাটার নাজমুল শান্ত ও অভিষিক্ত জাকির হোসেন। জাকির হোসেনের সেঞ্চুরিতে ভালোই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান সংগ্রহ করে চতুর্থ দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
চতুর্থ দিনের শুরুতে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন দুই টাইগার ওপেনার নাজমুল শান্ত ও জাকির হোসেন। দু’জন মিলে চতুর্থ দিনে স্কোরবোর্ডে আরও ৮২ রান যোগ করে। দলীয় ১২৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৫৬ বলে ৬৭ রান করে আউট হন নাজমুল শান্ত। এরপর ক্রিজে এসে দ্রুতই আউট হন ইয়াসির রাব্বি। দলীয় ১৩১ রানে ১২ বলে মাত্র ৫ রান করে আউট হন তিনি।
ইয়াসিরের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন লিটন দাস। জাকির হোসেনকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। দলীয় ১৭৩ রানে ৫৯ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে অভিষেক ম্যাচেই নিজের সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার জাকির হোসেন। তবে সেঞ্চুরির পর পরই আউট হন জাকির। দলীয় ২০৮ রানে ২২৪ বলে ১০০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
জাকিরের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মুশফিক। তবে দলীয় ২৩৪ রানে আউট হয়ে যান তিনি। ৫০ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এরপর ক্রিজে এসে দ্রুতই ফিরে যান নূরুল হাসান সোহান। দলীয় ২৩৮ রানে ৩ বলে মাত্র ৩ রান করে আউট হন তিনি।
এরপর ক্রিজে আসেন মেহেদী মিরাজ। মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে আর কোন বিপদ না ঘটিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেন সাকিব আল হাসান। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান সংগ্রহ করে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। সাকিব ৬৯ বলে ৪০ ও মিরাজ ৪০ বলে ৯ রান করে অপরাজিত আছেন।
ভারতের পক্ষে অক্ষর প্যাটেল নেন সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট। এছাড়া উম্মেশ যাদব, অশ্বিন ও কুলদীপ যাদব নেন ১টি করে উইকেট। জয়ের জন্য শেষ দিনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৪১ রান। অন্যদিকে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ৪ উইকেট।