‘একটাই পৃথিবী প্রকৃতির ঐকতানে টেকসই জীবন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশব্যাপী পালিত হয়েছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন এবং দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একাত্ততা প্রকাশ করে বেসরকারিখাতের সবচেয়ে বড় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ‘বনায়ন’ তার ৪২তম বছরে পদার্পন করে ৫০ লাখ গাছের চারা বিতরণ শুরু করেছে। এই উদ্যোগটি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য দেশ জুড়ে ২০টির বেশি নার্সারিতে সযত্নে চারা তৈরি করেছে প্রকল্পটি।
বাংলাদেশ সরকারের বৃক্ষরোপনের আহ্বানের সঙ্গে একত্রিত হয়ে ১৯৮০ সালে ‘বনায়ন’ তার যাত্রা শুরু করে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তুতন্ত্র পুনঃস্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে এই পর্যন্ত ১১ কোটিরও বেশি বনজ, ফলজ, ও ঔষধি জাতীয় গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ এবং দেশব্যাপী ১১৯টি জীব-বৈচিত্র্য কেন্দ্র স্থাপন করেছে ‘বনায়ন’।
‘বনায়ন’ এর এই কার্যক্রম সরাসরি জাতিসংঘ প্রণীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-১৩) ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন’ এবং (এসডিজি-১৫) ‘লাইফ অন ল্যান্ড’ অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বৃক্ষ দ্বারা আচ্ছাদনের সরকারি লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে যাচ্ছে প্রকল্পটি।
এই কর্মসূচির আওতায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রংপুর, রাজশাহী, লালমনিরহাট, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, যশোর, চট্টগ্রাম, বান্দরবন, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী (ভাসানচর)সহ ১৮টিরও বেশি জেলায় গাছ লাগানোর কার্যক্রম বিস্তৃত করেছে ‘বনায়ন’।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অবদান রাখায় ‘বনায়ন’ ইতোমধ্যে দেশে-বিদেশে অসংখ্য স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এগুলোর মধ্যে পাঁচবার প্রধানমন্ত্রী’র জাতীয় পুরষ্কার এবং একবার প্রধান উপদেষ্টা’র জাতীয় পুরষ্কার অর্জন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।