মুম্বইয়ে ‘জলসা’র নীচে রোজই নানা বয়সের মানুষের জটলা দেখা যায়। কনকনে শীত কিংবা কাঠফাটা গরমেও অমিতাভ বচ্চনকে এক বার দর্শনের জন্য ভিড় করেন অনুরাগীরা। ‘বিগ বি’র জন্মদিনে কিংবা তাঁর কোনও ছবি মুক্তি পেলে তখন অমিতাভের বাড়ির সামনে তিলধারণের জায়গা থাকে না। অনুরাগীদের এই উচ্ছ্বাস আর উজাড় করা ভালবাসায় খুশি হন তারকারাও। কিন্তু, বিশেষ দিন ছাড়া দর্শন মেলে না তারকাদের। এক ঝলক দেখার জন্য সারা দিন ঠায় দাঁড়িয়ে থেকেও ‘আরাধ্য’কে দর্শন না করেই ফিরে যেতে হয় অনুরাগীদের। কিন্তু কোনও কোনও দিন আবার অন্য রকম হয়। রবিবারও তেমন একটা দিন ছিল। ‘জলসা’র নীচে দাঁড়িয়ে থাকা অনুরাগীদের ডাকে সাড়া দিয়ে বেরিয়ে এলেন অমিতাভ। করজোড়ে নমস্কার করলেন। হাত নাড়লেন অনুরাগীদের দিকে। এতগুলি মানুষ শুধু তাঁকে দেখার জন্য দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়ে আছেন, তা দেখে আবেগতাড়িতও হয়ে পড়েন অমিতাভ।
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল পেরিয়ে দুপুর। অমিতাভের বাংলো ‘জলসা’র সামনে তখন শয়ে শয়ে মানুষ দাঁড়িয়ে। কারও হাতে অমিতাভের ছবি আঁকা প্ল্যাকার্ড, কেউ আবার নিজের হাতে পর্দার ‘ডন’কে এঁকেছেন। অমিতাভকে এক বার স্বচক্ষে দেখার জন্য উদগ্রীব অপেক্ষার প্রহর গুনছেন যখন সকলে, ঠিক সেই সময়ই বাংলোর মূল ফটক খুলে গেল। ভক্তদের ডাকে সাড়া দিয়ে স্বয়ং ‘আরাধ্য’ এসে সামনে দাঁড়ালেন। অমিতাভকে দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন অনুরাগীরা।
একটা উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে হাত নাড়লেন অনুরাগীদের দিকে। অমিতাভের চোখেমুখ তখন আবেগে মাখামাখি। এই ভালবাসা পেয়ে তিনি যে আপ্লুত, তা তাঁকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ‘এক্স’-এর পাতায় অনুরাগীদের সঙ্গে সাক্ষাতের সেই ভিডিয়ো ভাগ করে নিয়ে অমিতাভ লিখলেন, ‘‘অনুরাগীরা না থাকলে আমাদের কোনও মূল্য নেই। কিচ্ছু নই আমরা। ’’