এ বছরের প্রথম মাসে রেমিট্যান্স আয় কিছুটা বেড়েছে। গত মাসে ২১০ কোটি মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। এই পরিমাণ প্রবাসী আয় গত ৬ মাসে আসেনি। সর্বশেষ গত বছরের জুনে সর্বোচ্চ ২১৯ কোটি ডলার এসেছিল।
২০২৩ সালে সব মিলিয়ে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২ হাজার ১৯০ কোটি ডলার। ২০২২ সালে এসেছিল ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। এর মানে, ২০২৩ সালে প্রবাসী আয় বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ। এর আগে ২০২১ সালে ২ হাজার ২০৭ কোটি ডলার, ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৩ কোটি ডলার ও ২০১৯ সালে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় আসে।
সে হিসাবে গত ৫ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে। তা সত্ত্বেও প্রবাসী আয়ে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। কারণ, প্রতিবছর যে পরিমাণ জনশক্তি রপ্তানি হয়ে থাকে, সে অনুযায়ী প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে দুই বছর ধরে চলা বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে দেশে মার্কিন ডলারের দাম ৮৬ থেকে বেড়ে ১১০ টাকায় উঠেছে। ডলার-সংকটের কারণে আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলা কমে গেছে। চাহিদামতো ঋণপত্র খুলতে পারছেন না অনেক আমদানিকারক। যারা এলসি খুলতে পারছেন, তাদের কাছ থেকে আবার ব্যাংকগুলো আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম ১২০ টাকার বেশি নিচ্ছে। কারণ, ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কিনছে ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে। এরপরও বিদায়ি বছরে প্রবাসী আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি হয়নি। যদিও গত বছর রেকর্ড পরিমাণ জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে।
অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, বাংলাদেশ থেকে গত বছর বিভিন্ন দেশে ১৩ লাখের বেশি কর্মী গেছেন। দেশের ইতিহাসে কোনো একক বছরে এটিই সর্বোচ্চ জনশক্তি রপ্তানি। ২০২৩ সালে এর আগের বছরের তুলনায় বিদেশে কর্মসংস্থান বেড়েছে ১৩ শতাংশ। অথচ প্রবাসী আয় বেড়েছে মাত্র ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ। অন্যদিকে দেশের মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে প্রবাসী আয়ে তেমন প্রবৃদ্ধি হয়নি। আবার পুরুষ কর্মী বাড়লেও আগের বছরের তুলনায় নারী কর্মী রপ্তানি কমেছে ২৭ শতাংশ।