কাতার বিশ্বকাপের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এশিয়ার পাওয়ার হাউজ জাপানকে এক গোলে হারিয়ে নক আউট পর্বের আশা বাঁচিয়ে রাখলো কোস্টারিকা। রবিবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪ টায় আহম্মেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে এই দু’দল। প্রথমার্ধ শেষে কোন গোল না হলে গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যায় জাপান ও কোস্টারিকা। বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৮০ মিনিটে কেইশার ফুলারের করা একমাত্র গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কোস্টারিকা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থেকে দু’দল। বেশ কিছু সুযোগ তৈরী করলেও তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। এরপর কিছুটা আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে কোস্টারিকা। বল পজিশন নিজেদের দখলে রেখে আক্রমণ সাজায় কোস্টারিকা। অন্যদিকে কিছুটা কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলতে থাকে জাপান।
ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিটে বল পজিশনে এগিয়ে থাকে কোস্টারিকা। গোলের লক্ষ্যে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে কোস্টারিকা। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে ডান দিক থেকে আক্রমণে উঠে তার। তবে তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় কোস্টারিকা। অন্যদিকে নিজেদের রক্ষণ ঠিক রেখে আক্রমণে উঠার চেষ্টা করে জাপান।
ম্যাচের ৩৭ মিনিটে আক্রমণে যায় জাপান। তবে ডি বক্সের আগে বল নিজেদের দখলে নিয়ে কাউন্টার অ্যাটাকে যায় কোস্টারিকা, তবে তা থেকে কোন বিপদ ঘটাতে পারেনি। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে গোলের সম্ভাবনা জাগালেও তা আটকে দেন কোস্টারিকার গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। ম্যাচের ৪১ মিনিটে মায়া ইয়োসিধাকে ফাউল করার কারণে অ্যান্থোনি কন্ত্রেরাসকে হলুদ কার্ড দেখান রাফারি।
এরপর গোলের লক্ষ্যে একাধিক আক্রমণ চালায় দু’দল। তবে গোল পেতে ব্যর্থ হয় তারা। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন জাপানের ডিফেন্ডার মিকি ইয়ামানে। শেষ পর্যন্ত কোন গোল না হলে গোলশূন্য ভাবে বিরতিতে যায় জাপান ও কোস্টারিকা।
বিরতি থেকে ফিরে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে জাপান। বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোলের সুযোগ তৈরী করলেও নিজের জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে এসে বিপদ মুক্ত করেন কেইলর নাভাস। ম্যাচের ৬১ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় জাপান। ইউকি সোমার নেওয়া সেই ফ্রি কিক অল্পের জন্য চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে ডি বক্সের সামান্য বাইরে ইতোকে ফাউল করার কারণে হলুদ কার্ড দেখেন ফ্রান্সিস্কো কালভো। সেখান থেকে নেওয়া ফ্রি কিক মানব দেয়ালে লেগে প্রতিহিত হয়। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে গেলেও তা থেকে গোল করতে পারে না জাপান। গোল না পেলেও এসময় কোস্টারিকার ওপর বেশ চড়াও হয়ে খেলতে থাকে জাপান।
ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ডি বক্সের বাইর থেকে ইতোর বাড়ানো বলে কামাডা মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে গোল বঞ্চিত হয় জাপান। অন্যদিকে ম্যাচের ৮০ মিনিটে গোলের দেখা পায় কোস্টারিকা। ডি বক্সের সামান্য ভেতর থেকে মাপা শটে বল জাপানের জালে জড়ান কেইশার ফুলার। তার গোলে ম্যাচে প্রথম লিড পায় কোস্টারিকা। ম্যাচের পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে জাপান।
ম্যাচের ৮৭ মিনিটে ডি বক্সের ভেতরে বল পেয়েও গোলমুখে শট করতে ব্যর্থ হয় জাপান। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে আবারও সুযোগ আছে জাপানের সামনে। বাম দিক থেকে বাড়ানো বলে তাকুমা আসানো শট করলেও তা দারুণ সেভে দলকে রক্ষা করেন নাভাস। ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট হয় জাপানের।
এরপর গোল শোধের লক্ষ্যে বেশকিছু আক্রমণ চালালেও তা থেকে গোল পেতে ব্যর্থ হয় জাপান। শেষ পর্যন্ত এক গোলের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জাপান। আর এই জয়ের ফলে নক আউট পর্বের আশা বাঁচিয়ে রাখলো কোস্টারিকা।