গণতান্ত্রিক উপায়ে উপাচার্য নিয়োগের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দ্রুত উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আবু ইউসুফ মিয়া।
মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মৌখিকভাবে এ নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশের ১২ (১) ধারা অনুযায়ী এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তে শুধু নির্বাচিত সিনেটর ও সিন্ডিকেট সদস্যরা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত তিনজনের প্যানেল মনোনয়ন শেষে তা রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের কাছে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপতি তাঁর ক্ষমতাবলে প্যানেলের যে কাউকে উপাচার্য হিসেবে চার বছরের জন্য মনোনয়ন দেন।
মো. আবু ইউসুফ মিয়া বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের জন্য বর্তমান উপাচার্যকে মৌখিকভাবে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যতো দ্রুত সম্ভব এ প্যানেল নির্বাচন করতে হবে।
যদিও সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ১২ আগস্ট প্যানেল নির্বাচন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও বরাবর উদাসীন ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় দাবি জানিয়েছে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল জোট’।
সর্বশেষ ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক এম এ মতিনের আমলে রাষ্ট্রপতির আদেশে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন হয়েছিল।