জুতা, জামা কাপড় ও সিঙ্গারা কিনে দেয়ার কথা বলে দুই মেয়েকে নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন আরিফা আক্তার (৪০) নামের এক মা। স্থানীয়রা এক শিশুকে উদ্ধার করলেও মা ও আরেক মেয়ের খোঁজ মেলেনি। তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ করছে।রোববার কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী গ্রামের বরামা সেতু এলাকায় সন্তানদের নিয়ে ঝাঁপ দেন ওই মা।
আরিফা আক্তার কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের স্ত্রী এবং স্থানীয় বিবাদিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী মুন্সির মেয়ে।
উদ্ধার শিশু তাহমিদা ও স্বজনরা জানান, দু’ বোন তাহমিদা আক্তার (৯) ও মুর্শিদা আক্তারকে (৭) জুতা, জামা কাপড় ও সিঙ্গারা কিনে দেয়া কথা বলে তাদের নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন মা আরিফা আক্তার (৪০)। দু’সন্তানকে নিয়ে সিংহশ্রী গ্রামের বরামা সেতু এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে যান আরিফা। সেখানে গিয়ে হঠাৎ সন্তানের হাত ধরে তাদেরকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। ঝাঁপ দেয়ার পর মায়ের হাত ফসকে নদীতে থাকা বাঁশের মাচা ধরে কান্নাকাটি করতে থাকে তাহমিদা। এ সময় তাহমিদার কান্নাকাটি শুনতে পেয়ে নদীতে মাছ ধরতে আসা জেলেরা তাকে উদ্ধার করে। তবে আরিফা ও মেয়ে মুর্শিদা নদীতে নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয়রা চেষ্টা চালিয়েও তাদের খোঁজ পায়নি।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, খবর পেয়ে টঙ্গী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। উদ্ধার শিশু তাহমিদা ও এলাকাবাসীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শীতলক্ষ্যা নদীতে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত আরিফা আক্তার ও তার মেয়ে মুর্শিদা আক্তারের সন্ধান মেলেনি। তারা এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
আরিফার ভাই এমারত হোসেন জানান, ১০/১২ বছর আগে আব্দুল মালেকের সাথে আরিফার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর রোগে আক্রান্ত হয়ে আব্দুল মালেক মারা যান। তাদের সংসারে দু’মেয়ে রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর অসহায় আরিফা মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন।