চীনের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে নিপীড়ন সম্পর্কিত জাতিসংঘের বহুল প্রতীক্ষিত প্রতিবেদনে দেশটির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক এই সংঘটি।
চীন এই প্রতিবেদন প্রকাশ না করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল এবং বেইজিং এই প্রতিবেদনকে পশ্চিমা শক্তিগুলোর ‘প্রসহন’ বলে অভিহিত করে আসছে।
প্রতিবেদনে উইঘুর মুসলিমসহ অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘু নিপীড়নের অভিযোগ মূল্যায়ন করা হয়। যদিও চীন নিপীড়নের এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। তবে তদন্তকারীরা বলেছেন, তারা সম্ভাব্য ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটিত হওয়ার ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ পেয়েছেন।
তাদের অভিযোগ, সংখ্যালঘুদের অধিকার বঞ্চিত করতে এবং ‘নির্বিচারে আটকে রাখার ব্যবস্থা’ প্রতিষ্ঠা করতে চীন অস্পষ্ট জাতীয় নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন প্রতিবেদনটি তৈরি করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্দিদের সঙ্গে ‘যৌন এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাসহ খারাপ আচরণ’ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেক বন্দি জোরপূর্বক চিকিৎসার মুখে পড়েছেন এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও পরিবার পরিকল্পনা নীতির বৈষম্যমূলক প্রয়োগের শিকার হয়েছেন।
প্রতিবেদনে স্বাধীনতা বঞ্চিত এসব বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে চীনকে পদক্ষেপ নিতে বলেছে এবং বেইজিংয়ের নেওয়া কিছু পদক্ষেপ মানবতাবিরোধী অপরাধসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে বলে বলেছে।
যদিও জাতিসংঘ বলেছে, ঠিক কত জন মানুষকে চীন সরকার বন্দি করে রেখেছে তা সংস্থাটি নিশ্চিত নয়। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ধারণা, চীনের উত্তর-পশ্চিম জিনজিয়াং অঞ্চলের বন্দিশিবিরগুলোয় ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।