সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সেই আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এবং শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ ওঠে।শাহজালাল মজুমদারের দাবি,মনিরুজ্জামান জুয়েলের নেতৃত্বে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী।ওই হামলায় শাহজালাল মজুমদার ও তাঁর গাড়িচালক আমজাদ হোসেন আহত হয়েছেন।এ সময় শাহজালাল মজুমদারের ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
হামলার ঘটনার পর জুয়েলের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যায়,একই উপজেলার মিয়াবাজারে গ্রিন ভিউ রেস্টুরেন্টের সামনে মনিরুজ্জামান জুয়েলের এক হাতে একটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং অন্য হাতে সিগারেট টানছেন।আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, জুয়েল অস্ত্র হাতে হেঁটে যাচ্ছেন।
পুলিশ ও জুয়েলের পরিবার দাবি করছে,ছবিগুলো এ ঘটনার আগের।তবে শাহজালাল মজুমদার বলছেন,ঘটনার দিন জুয়েল ও তাঁর লোকজন ওই অস্ত্র নিয়েই হামলা চালান।
জুয়েলের সেই আগ্নেয়াস্ত্র ৮৬ রাউন্ড গুলিসহ গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে চৌদ্দগ্রাম থানায় জমা দেন তাঁর স্ত্রী ফারজানা হক।এ ঘটনায় এখনো মামলা করা না হলেও অন্য তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়া মনিরুজ্জামান জুয়েল এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।এলাকায় তিনি নিজেকে যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন। তবে শাহজালাল মজুমদারের দাবি,জুয়েল একজন সন্ত্রাসী ক্যাডার।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন,ভাইরাল হওয়া অস্ত্রটির লাইসেন্স আছে।দেখতে অনেকটা সামরিক বাহিনীর অস্ত্রের মতো হলেও এটি একটি টু পয়েন্ট টু বোরের রাইফেল,যার মডেল হচ্ছে জিএসজি-৫।এটি জার্মানির তৈরি।আমরা তাঁর লাইসেন্স চেক করে অস্ত্রটির সঙ্গে মিলিয়েছি।এটার বৈধ লাইসেন্স আছে। ’
চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার বলেন,এত মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি। এ জন্য আমি থানা পুলিশের ওপর আস্থা রাখতে পারছি না।সিদ্ধান্ত নিয়েছি,রবিবার আদালতে মামলা করব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,একসময় বেলজিয়ামে থাকতেন জুয়েল।তিনি প্রায় সময় দেশে এসে যুবদলের সক্রিয় রাজনীতি করতেন।জেলা যুবদলের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে তাঁর ফিলিং স্টেশনের ব্যবসা ছিল।বছর তিনেক আগে একেবারে দেশে ফিরে তিনি নিজেকে যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন।জুয়েল স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।