হিজাব ঠিকমতো না পরার অভিযোগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয় মাহশা আমিনির (২২)। এর জেরে দেশটির হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলছে সেই বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের ওপর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর তাণ্ডবে ৫০ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে বিক্ষোভ দমনের অঙ্গীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইব্রাহিম রাইসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ৩১টি প্রদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, ৮০ টির বেশি শহরে এই বিক্ষোভে নেমেছে প্রতিবাদকারীরা।তবে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এই বিক্ষোভের জন্য ষড়যন্ত্রকারীদের দোষারোপ করেছেন এবং যারা দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা বিরোধী তাদের দমনের অঙ্গীকার করেছেন।
ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আছেন বলে দাবি দেশটির কর্মকর্তাদের। তবে অ্যাক্টিভিস্টরা দাবি করেছেন, নিহতের সংখ্যা ৫০ এবং তা আরও বেশি হতে পারে।
ইরানের এক সাংবাদিক সিমা সাবেত বলেন, এবারের আন্দোলন ভিন্ন রকমের কেননা এখন প্রতিবাদকারীরা লড়াই করছে। তারা এই নৃশংস শাসনকে আর ভয় পায় না।
তিনি আরও বলেন, বিক্ষোভকারীরা এ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দিচ্ছে কেননা এ্যাম্বুলেন্সে করে নিরাপত্তা বাহিনী চলাচল করছে, মানুষকে উদ্ধার করছে না। বিক্ষোভকারীরা নানা কৌশল ব্যবহার করছে, তারা সকল শহরে আন্দোলন চালাচ্ছে, এতে করে তাদের নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।