ইরানি পুলিশি হেফাজতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যায় মাহশা আমিনি (২২)। এর জেরে দেশটিতে তুমুল বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের ওপর ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে ইরানি পুলিশি। সেইসঙ্গে চালিয়েছে গণহারে গ্রেফতার। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ৬ সপ্তাহে অন্তত ১৪ হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতির বিশেষ প্রতিবেদক জাভেদ রেহমানের জানিয়েছে, গত ছয় সপ্তাহে হাজার হাজার পুরুষ, মহিলা এবং শিশুসহ ১৪ হাজারেরও বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মানবাধিকার রক্ষক, ছাত্র, আইনজীবী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের কর্মীরা রয়েছেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া এক ভাষণে রেহমান জানান, মানবাধিকার গোষ্ঠী ইরানে নিরাপত্তা বাহিনীর নিরবচ্ছিন্ন সহিংসতা প্রতিক্রিয়ায় অন্তত ২৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতের সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান ইরান সরকারের বাইরের কারও পক্ষে নিশ্চিত করা অসম্ভব।
এছাড়া তেহরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সম্পৃক্ততার জন্য প্রায় এক হাজার মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার প্রসঙ্গে রেহমান বলেন, এদের অনেকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। অ্যাক্টিভিস্ট ও বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ দেশটির জাতীয় বিদ্রোহ ও শাসনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক রোহাম আলভান্দির বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, এটি সংস্কারের প্রতিবাদ নয়। এটি ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের অবসানের দাবিতে একটি বিদ্রোহ এবং এটি তারা আগে যা দেখেছেন তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু।
এদিকে রোববার (৩০ অক্টোবর) ইরানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইরানি ছাত্র ও ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ হয়। দেশটির আধাসামরিক বিপ্লবী গার্ডের হুমকি সত্ত্বেও দেশব্যাপী বিক্ষোভের সময় রোববার সহিংসতা শুরু হয়।