শক্তিমত্তা আড়ালে রেখে যদি আত্মবিশ্বাস বিবেচনায় আনা হয়, তাহলে পাল্লাটা নেদারল্যান্ডসের দিকে ঝুঁকবে বেশি। প্রথম রাউন্ডে দুই ম্যাচ জিতে শেষ ম্যাচ হারের পরও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাঁধে চড়ে সুপার টুয়েলভে উঠেছে তারা। এর আগে সবশেষ বিশ্বকাপের ‘মূলপর্ব’ খেলেছিল ২০১৪ সালে। যেখানে একটি জয়ও আছে তাদের। উলটো দিকে বাংলাদেশ এখনো জয়ের মুখ দেখেনি। আজ ডাচদের বিপক্ষে সেই স্বপ্নই দেখছে টাইগাররা।
তবে কথার লড়াইয়ে বোঝা গেছে কমলা জার্সিধারীদের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। গতকাল ম্যাচ-পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে দলটির অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান টম কুপার বলেন, ‘সুপার টুয়েলভে কিছু শক্তিশালী দল রয়েছে। তবে আমরা আমাদের সুযোগ দেখছি (বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে)। আমরা কিছু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলে এসেছি। বাংলাদেশ মাত্র শুরু করছে। তাদের একটি (প্রস্তুতি) ম্যাচ ভেসে গেছে, মাত্র একটি ম্যাচ খেলতে পেরেছে। আমরা খেলার মধ্যেই আছি। আপনারা মনে করেন জিতলে হয়তো অঘটন হবে। কিন্তু আমি সেভাবে দেখছি না। আমরা এখানে লড়াই করতে এসেছি। অতীতে আমরা তাদের বিপক্ষে সমানে সমান খেলেছি। আগামীকাল (আজ) তাদেরকে না হারানোর কোনো কারণ দেখছি না।’
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের প্রস্তুতিটা ঠিক মতো হয়নি বললে ভুল হবে না। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ৬২ রানে হেরে বিধ্বস্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার সুযোগই পায়নি বৃষ্টির কারণে। পরের কয়েকটি দিনও প্রকৃতি ভুগিয়েছে বেশ। অন্যদিকে ম্যাচ প্র্যাকটিসে এগিয়ে থাকায় ভালো শুরুর আশা করছেন কুপার, ‘এখানে সহজ ম্যাচ বলতে আসলে কিছু নেই। আমরা প্রথম রাউন্ডের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচগুলো থেকে অনেক আত্মবিশ্বাস নিচ্ছি। যেহেতু এটি তাদের (বাংলাদেশ) প্রথম ম্যাচ, আশা করি আমরা তাদের অপ্রস্তুত অবস্থায় শিকার করতে পারব এবং দারুণভাবে সুপার টুয়েলভ শুরু করতে পারব।’
কণ্ঠে আত্মবিশ্বাসের ফোয়ারা ছুটালেও পা মাটিতেই রাখছেন কুপার, ‘তারা খুবই ভয়ানক দল। টি-টোয়েন্টিতে যে কেউ যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। আমরা তাদের অতীত রেকর্ড নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। নিজেদের দিনে তারা যে কোনো দলকে হারাতে পারে। তাদের সঙ্গে আমাদের বেশ কিছু জমজমাট ম্যাচ রয়েছে। তো আগামীকাল লড়াই করে জিততে পারা দারুণ ব্যাপার হবে।’