টাঙ্গাইল সদর উপজেলার জুগনী এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতায় যুবলীগের তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, কর্মী এমদাদুল ও সিয়াম। তারা সবাই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা হয়েছে। গুলির ঘটনায় জড়িত অভিযোগে রাজ্জাক ও কাহালু নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি ছানোয়ার হোসেনের সমর্থক বলে জানা গেছে।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মামুন অর রশিদ অভিযোগ করেন, রাতে বাঘিল ইউনিয়নে নৌকার পক্ষে তার কর্মী সমর্থকরা একটি মটরসাইকেল মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জুগনী এলাকায় পৌছালে বর্তমান এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেনের সমর্থকরা মিছিলে অতর্কিত গুলি চালায়। এতে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত ইনটার্ন চিকিৎসক সায়মা জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজন হাসপাতালে আসার পর তাদের শরীর থেকে গুলি বের করা হয়েছে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা আশংকামুক্ত বলে জানান তিনি।
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি লোকমান হোসেন জানান, নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর অফিসের সামনে গেলে সতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা গুলি চালায়। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। সোমবার বিকালে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে গুলিবিদ্ধ রোকনুজ্জামান রোকনের বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে রাজ্জাক ও কাহালু নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি ছানোয়ার হোসেন জানান, আমার কোন কর্মী-সমর্থক কারও ওপরে হামলা চালায়নি। আমার নির্বাচনী ক্যাম্প থেকে আমার সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।