একদিকে দেশে টালমাটাল অর্থনৈতিক অবস্থা অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যেই গত ৬ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন লিজ ট্রাস। এমন পরিস্থিতিতে দেশকে সামনের দিকে বেশিদূর এগিয়ে নিতে পারেননি লিজ। নজিরবিহীন চাপের মুখে গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) লিজ ট্রাস লন্ডনে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে দাঁড়িয়ে পদত্যাগের কথা জানান। দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে লিজ ট্রাসই হচ্ছেন সবচেয়ে স্বল্পস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী। এখন প্রশ্ন উঠেছে দেশটির হাল কে ধরছেন?
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই হবে কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচন। আগামী সপ্তাহের সোমবার বা শুক্রবারে বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে।
, লিজের উত্তরসূরি হওয়ার সম্ভাবনাময় প্রার্থীদের মধ্যে প্রথমেই উঠে আসছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটেনের সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নাম। ট্রাসের পদে আসতে এখন সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রয়োজনীয় ১০০ কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতার সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
এখন পর্যন্ত টোরির ৩৫৭ এমপির মধ্যে ১০৬ জন্য প্রকাশ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সমর্থন জানিয়েছেন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে সুনাক। তাকে ৫৬ জন কনজারভেটিভ এমপি সমর্থন জানিয়েছেন। এছাড়া বরিস জনসনকে জানিয়েছেন ৩৩জন। তালিকার তৃতীয়তে থাকা কনজারভেটিভ পার্টির নেত্রী পেনি মর্ডন্টেকে সমর্থন জানিয়েছেন ১৭ জন।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার তালিকায় ছিলেন জেরেমি হান্ট। কিন্তু নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। এ ছাড়া সর্বশেষ দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসও জানিয়েছেন তিনি এই লড়াইয়ে থাকছেন না।
তাদের লাইভ প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, অনেক এমপি এখনো কাকে সমর্থন জানাবেন সেই নিয়ে কিছু জানাননি এবং অন্য এমপিরা সপ্তাহান্তে তাদের সমর্থন জানাবে। তাই এই সংখ্যা দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে।
আরও বলছে, যেসব এমপি প্রকাশ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সমর্থন জানিয়েছেন বা ‘অন রেকর্ডে’ তাদের জানিয়েছেন তাদের পরিসংখ্যান তারা তুলে ধরেছে।
অন্যদিকে ওপিনিয়াম তাদের সর্বশেষ জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছে। সেখানে ৪৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক সুনাকের পক্ষে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন, বিপরীতে বরিসের পক্ষে গেছে ৩১ শতাংশ। একইসঙ্গে সুনাকের বিপরীতে মর্ডন্টের জরিপেও ৪৫ শতাংশ বলেছেন সুনাকের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত। অন্যদিকে ২৩ শতাংশ চেয়েছেন মর্ডন্টকে
তাই আপাতদৃষ্টিতে এখন পর্যন্ত ব্রিটেনের হাল ধরতে সুনাকই এগিয়ে আছেন।