টি-টোয়েন্টির মারকাটিং ফরম্যাটের যুগে টেস্ট ক্রিকেটে অনীহা দর্শকদের। অথচ ক্রিকেটের এই আদি ফরম্যাট টেস্ট ক্রিকেটকে বিনোদনের উপলক্ষ্য করে তুলেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল।
ভারতের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া এজবাস্টন টেস্টসহ গত চার টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে তিন শতাধিক রান তাড়া করে জয়ের অনন্য নজির গড়েছে
ইংল্যান্ড।
অধিনায়ক এবং কোচ বদল হাওয়ায় পুরো পাল্টে গেছে ইংল্যান্ড। অবিশ্বাস্যকে বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে পরিণত করেছেন ইংলিশরা।
টেস্ট চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড আর রানার্সআপ ভারতের মতো বিশ্বসেরা দলের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে তিন শতাধিক রানের বিশাল টার্গেট তাড়ায় জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে ইংলিশরা।
টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ ইনিংসে তিনশ বা তার বেশি রান তাড়া করা যে কোনো মাঠেই কঠিন বলা হয়। কিন্তু ইংল্যান্ড গত চার ম্যাচে দেখাল যে, সেই কাজ কত সহজ।
সবশেষ অ্যাশেজের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে হারের কারণে নেতৃত্ব হারান জো রুট। বদলে যায় ইংল্যান্ডের কোচও। অধিনায়ক বেন স্টোকস আর কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের জুটিতে তৈরি হয় এক আক্রমণাত্মক ইংল্যান্ড দল। যে দল চতুর্থ ইনিংসে অনায়াসে ৩৭৮ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতে।
এজবাস্টনে ভারতের বিপক্ষে খেলার আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচেই চতুর্থ ইনিংসে বড় রান তাড়া করে জয়ের নজির গড়েছে ইংল্যান্ড।
প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ড ২৭৭ রান তাড়া করে পাঁচ উইকেটের জয় পায়। সেই ম্যাচে চতুর্থ ইনিংসে শতরান করেন জো রুট। স্টোকস করেছিলেন ৫৪ রান।
দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড জেতে ২৯৯ রান তাড়া করে। সেই ইনিংসে শতরান করেন জনি বেয়ারস্টো। ৯২ বলে ১৩৬ রান করেন তিনি। স্টোকস অপরাজিত থাকেন ৭৫ রানে।
তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ২৯৬ রান। সেই ম্যাচেও চতুর্থ ইনিংসে সহজে ম্যাচ জিতে ইংল্যান্ড। অলি পোপ করেন ৮২ রান। রুট ৮৬ আর জনি বেয়ারস্টো ৪৪ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জেতান সাত উইকেটে।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরপর তিন ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয়ের পথ সহজ করে দেন সাবেক অধিনায়ক জো রুট ও তারকা ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো।
ভারতের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে ৩৭৮ রানের বিশাল টার্গেট তাড়ায় জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি, শার্দুল ঠাকুর ও রবিন্দ্র জাদেজার মতো তারকা বোলারদের তুলোধুনো করেন রুট-বেয়ারস্টোরা।