জ্বালানি সংকটের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন লিজ ট্রাস। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ব্রিটেন সরকার ট্যাক্সের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ছাড় দিতে ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। এই ঘোষণার ফলে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক বাজার চাপে পড়েছে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমএক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পদক্ষেপের ফলে ব্রিটিশ সরকারের বন্ডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরো বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে হস্তক্ষেপ করার বিষয়ে অনেকটা প্ররোচনাও দিয়েছে। তবে সম্মেলনে কনজারভেটিভ দলের সংসদ সদস্যরা নীতি পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে, পরিবর্তনের বিষয়গুলো তারা কিছুটা বুঝতে পেরেছেন।
ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং নীতি পরিবর্তন দিয়েই তার রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু করেছেন। আয়করের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি ফিরে এসেছেন। এরপর বাজার পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে।
কিন্তু ওই সিদ্ধান্তে খুব কম ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। যদি ধনীদের কর বিরতি দেওয়া হতো তাহলে সরকারের ক্ষতি হতো দুই বিলিয়ন পাউন্ড। তবে কর ছাড়ের আওতায় এখনও সরকারকে গুণতে হবে ৪৩ বিলিয়ন পাউন্ড।
চলতি সপ্তাহে ট্রাস বলেন, করের সর্বোচ্চ হার বাতিল করা তার পরিকল্পনার মূল অংশ ছিল না। কিন্তু এখন প্রধান প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার কীভাবে বর্তমান কর ছাড় পরিশোধ করবে।
ট্রাস ও কোয়ার্টেং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে একটি মধ্য মেয়াদি আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি করতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে তা যাচাই করার পর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সর্বোত্তম পরিস্থিতিতে খরচ কমানো কঠিন হবে। বিভাগীয় বাজেট এরই মধ্যে মূল্যস্ফীতির কারণে চাপা পড়ে গেছে। মূলধন ব্যয় কমানো একটি প্রবৃদ্ধির পক্ষের সরকারের জন্য ঠিক কাজ হবেনা।
কিন্তু কনজারভেটিভ পার্টির বুঝতে না পারার কারণে এটি এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। করের সর্বোচ্চ হারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের পর বিদ্রোহী টোরি এমপিরা ওয়েলফেয়ারে রিয়াল টার্ম কাটার সম্ভাবনারও বিরোধিতা করার জন্য একত্রিত হচ্ছেন।
এর আগে গত ৫০ বছরের মধ্যে কর কমানোর সবচেয়ে বড় প্যাকেজ উন্মোচন করেন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং। ব্রিটেনের অর্থনীতিকে একটি নতুন যুগে স্বাগত জানাতেই এই পরিকল্পনা করা হয় বলে জানান নতুন এই চ্যান্সেলর। শুধু তাই নয় আয়কর ও বাড়ি কেনার ওপর স্ট্যাম্প শুল্ক কাটার পাশাপাশি ব্যবসায়িক করের পরিকল্পিত বৃদ্ধিও বাতিল করা হয় নতুন পরিকল্পনায়।