বাজার মনিটরিংয়ের কারণেই নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, নইলে আরও বেশি দাম বাড়ত বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন উৎপাদিত পণ্য বাজারে এলে দাম কমবে। এর আগে চাপের মধ্যে থাকতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্যসচিব বলেন, দ্রব্যমূল্য কমাতে আমরা চেষ্টা করছি। আমদানির কারণে ডিম ও আলুর দাম কমছে বলে জানান তিনি।
বাণিজ্যসচিব বলেন, এটা ঠিক যে মূল্যস্ফীতির যে হিসাব করা হয় সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় যে পণ্যগুলো, সেগুলোর কিন্তু ওয়েটেজটা বেশি। যেহেতু এখানে ওয়েটেজ বেশি সেহেতু অক্টোবরে কয়েকটা পণ্যের দাম বেশি হয়ে গেছে। বিশেষ করে পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম। তিনি বলেন, রপ্তানি বন্ধের কারণে, ইন্ডিয়া থেকে পেঁয়াজ সেভাবে আসছে না। এরপরও যে রপ্তানিমূল্য ভারত নির্ধারণ করেছে তাতে কেজিপ্রতি ১৩০ টাকার ওপরে। আলুটা আমদানি বন্ধ ছিল, এখন আমরা ওপেন (আমদানি) করে দিয়েছি। তিনি বলেন, নিয়মিত আমরা বাজার মনিটরিং করছি। এ কারণেই বাজার নিয়ন্ত্রণে আছে; কিন্তু এরপরও আমাদের যারা বিক্রেতা, যারা বড় ব্যবসায়ী তাদের ওপরেই ভরসা করতে হয়। কারণ দোকানে দোকানে গিয়ে কিন্তু প্রতিনিয়ত আপনি পাহারা দিতে পারবেন না।
বাণিজ্যসচিব বলেন, এখন বছরের শেষ পর্যায়ে, এ সময় বাজারে স্টক থাকে না। কৃষকের চেয়ে মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে এই সময় পণ্য থাকে। এ কারণে এই সময়ে দাম বাড়ে। তপন কান্তি ঘোষ বলেন, নতুন উৎপাদিত পণ্য বাজারে এলে আগামী ডিসেম্বর শেষে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করি। এজন্য আগামী এক মাস হয়তো আমাদের একটু চাপের মধ্যে থাকতে হবে।