ডেঙ্গুতে চলতি বছর দেশে এক হাজারেরও বেশি মৃত্যু হছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে অন্তত ১ হাজার ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৯ হাজার। মৃতদের মধ্যে শিশুসহ ১৫ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী ১১২ শিশু রয়েছে। খবর আলজাজিরার।
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থবার ডেঙ্গু হলে এর তীব্রতা বেড়ে যায়। মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে প্রবল। এছাড়া অনেকেই আমাদের কাছে দেরি করে আসছেন। সেক্ষেত্রে তাদের চিকিৎসায় জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ‘যথাযথ প্রতিরোধের অভাবে ডেঙ্গু বহনকারী মশা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০০-২০১৮ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের ঝুঁকি শুধু ঢাকা শহরেই বিদ্যমান ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে সেটি বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে। চলতি বছর সেই ঝুঁকি গ্রামাঞ্চলেও স্থানান্তরিত হয়।’
কর্মকর্তারা জানান,ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে বৃষ্টির পর মশার লার্ভা নিধনের প্রচেষ্টা পর্যন্ত ডেঙ্গু বিরোধী অভিযান জোরদার করেছে সরকার।
উল্লেখ্য, ডেঙ্গুর উপসর্গ হলো- উচ্চমাত্রায় জ্বর, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, পেশী বা জয়েন্টে ব্যথা ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছালে রক্তপাতও হতে পারে। এর ফলে অনেকে মৃত্যুবরণও করে থাকেন।