নিজ দেশ প্রথমবারের মতো বিশ্বসেরার আসনে বসেছে। স্বাভাবিকভাবেই স্পেনের সবার আনন্দ করার কথা যার মধ্যে স্পেনের প্রধানমন্ত্রীও পড়ে। কিন্তু স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেসের চুমু কাণ্ডে আনন্দের জায়গায় বিব্রতকর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে স্পেনের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পেদ্রো সানচেজ বলেন, বিশ্বকাপ জয়ের সময় খেলোয়াড় জেনি হারমোসোকে স্পেনের ফুটবলপ্রধান লুইস রুবিয়ালেসের অযাচিত চুম্বন একটি ‘অগ্রহণযোগ্য অঙ্গভঙ্গি’ এবং এই ব্যাপারে আরও পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এ ছাড়াও ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেসের ক্ষমা চাওয়াকেও পর্যাপ্ত হিসেবে দেখেন না সানচেজ।
চুম্বন বিতর্কে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সানচেজ বলেন, ‘রুবিয়ালেস এবং যেসব বিতর্ক ঘটেছে তার বিষয়ে কথা বলার আগে আমি সবার আগে বলতে চাই, আমাদের খেলোয়াড়রা জয়ের জন্য সবকিছু করেছে। সব আকর্ষণ থাকা উচিত তাদের ওপর কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত রুবিয়ালেসের কিছু আচরণ এই সুন্দর মুহূর্তটাকে করেছে বিতর্কিত। তবে এ ঘটনা আমাদের দেখায় যে, আমাদের দেশে এখনো নারী ও পুরুষের মধ্যে অধিকারের সমতার ক্ষেত্রে অনেক দূর যাওয়া বাকি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, আমরা যা দেখেছি তা ছিল পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। আমার আরও বিশ্বাস রুবিয়েলসের ক্ষমাপ্রার্থনা যথেষ্ট নয়। রুবিয়ালসকে অবশ্যই মিডিয়ায় তার আচরণের ব্যাখ্যা দিতে হবে।’
উল্লেখ্য, চুমু কাণ্ডের পর তীব্র সমালোচনার মধ্যে পড়েন রুবিয়ালেস। স্পেনের দ্বিতীয় উপপ্রধানমন্ত্রী তার পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বিতর্কের ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ার পরে সোমবার তিনি ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চান।
তবে প্রথমে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মধ্যেই ‘রেডিও মার্কা’কে রুবিয়ালেস প্রথমে বলেছিলেন, ‘জেনির সঙ্গে চুমু? মূর্খ লোকের তো অভাব নেই। দুজন মানুষের স্নেহপূর্ণ মুহূর্ত নিয়ে এসব মূর্খের কথা শোনার সময় নেই। আমরা চ্যাম্পিয়ন, আমি এটা নিয়েই আছি।’
তবে সোমবার নিজের ভুল স্বীকার করেছেন রুবিয়ালেস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘আমাকে স্বীকার করতেই হবে, আমি সম্পূর্ণ ভুল ছিলাম। আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে, এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমাকে বুঝতে হবে, যখন সভাপতি সভাপতির মতো দায়িত্বে থাকবেন, আপনাকে আরও সতর্ক হতে হবে।’