ইউরোপের তাইওয়ানের সংঘাত ত্বরান্বিত করার কোন আগ্রহ নেই বলে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। ওয়াশিংটন এবং বেইজিং উভয়ের থেকে তার স্বাধীন হওয়া উচিত।
আটলান্টিকের উভয় দিকের রাজনীতিকরা প্রেসিডেন্টের অবস্থানকে চীনের পক্ষে বেশি মানানসই বলে সমালোচনা করেছেন, ঠিক এখন তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া চালায়।
গত সপ্তাহে তার ৩ দিনের চীন সফরের সময় ফরাসি সংবাদপত্র লেস ইকোস এবং পলিটিকোর সাথে সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ বলেন, “সবচেয়ে খারাপ জিনিসটি ভাবতে হবে, ইউরোপীয়দের আমেরিকান ছন্দের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে বা চীনের বিষয় অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে!”
চীন গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে তার নিজস্ব এলাকা হিসেবে দেখে এবং দ্বীপটিকে তার নিয়ন্ত্রণে আনতে শক্তি প্রয়োগকে কখনোই ত্যাগ করেনি। তাইওয়ানের সরকার চীনের দাবির তীব্র আপত্তি জানিয়েছে।
বুন্ডেস্ট্যাগের বিদেশী কমিটির জার্মান এমপি নরবার্ট রোয়েটজেন টুইট বার্তায় বলেছেন, ম্যাক্রন “তার চীন সফরকে শির জন্য জনসংযোগ অভ্যুত্থানে এবং ইউরোপের জন্য বৈদেশিক নীতি বিপর্যয়ে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন।” তিনি আরও বলেছেন ফরাসি রাষ্ট্রপতি “ইউরোপে নিজেকে ক্রমবর্ধমানভাবে বিচ্ছিন্ন করছেন।”
টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে, মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও ইউক্রেনের সংঘাতের থেকে বের হতে ম্যাক্রোঁনকে চীনের সাহায্য গ্রহনের আশা করছেন।
রিপাবলিকান সিনেটর বলেন, ইউরোপ যদি তাইওয়ান নিয়ে “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে পক্ষ বাছাই না করে, তাহলে হয়ত আমাদের [ইউক্রেনে] পক্ষ বাছাই করা উচিত নয়।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফরাসি দূতাবাসের মুখপাত্র প্যাসকাল কনফাভরেক্স বলেছেন ম্যাক্রোঁর মন্তব্যের অতিরিক্ত ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
তিনি টুইটারে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র আমাদের মিত্র যার সাথে আমরা আমাদের মূল্যবোধ শেয়ার করি।”
এলিসি মন্তব্যের জন্য অনুরোধের জবাব দেয়নি।