শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক ঘোষণায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ান ইস্যুতে বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের উত্তেজনার মধ্যেই অঞ্চলটিতে অস্ত্র বিক্রির এই ঘোষণা দিলো বাইডেন প্রশাসন। এর আওতায় তাইপেকে ৬৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ‘রাডার ওয়ার্নিং সিস্টেম’ সরবরাহ করবে ওয়াশিংটন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এছাড়া যেকোনও জাহাজ ডুবিয়ে দিতে সক্ষম ৬০টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হবে। এর দাম পড়বে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাইওয়ানের নিরাপত্তার জন্য এসব সামরিক সরঞ্জাম অত্যন্ত জরুরি।
পররাষ্ট্র দফতরের ঘোষণা সত্ত্বেও চূড়ান্তভাবে এসব অস্ত্র বিক্রিতে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। ধারণা করা হচ্ছে, কংগ্রেসের উভয় দলই এতে সমর্থন দেবে। কেননা, তাইওয়ান ইস্যুতে দুই দল বরাবরই সমর্থন দিয়ে আসছে।
এদিকে চীনা উপকূলের কাছে নিজেদের আকাশসীমার কাছে প্রবেশ করায় প্রথমবারের মতো একটি ‘অজ্ঞাত বেসামরিক ড্রোন’ ভূপাতিত করেছে তাইওয়ানের সেনাবাহিনী। তাইওয়ানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারির পর ১ সেপ্টেম্বর ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়। এ ঘটনায় অঞ্চলটিতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাইওয়ানের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া ড্রোনটিকে সরে যেতে সতর্ক করা হলেও সেটি আমাদের বার্তা উপেক্ষা করে। ফলে গুলি চালানো ছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। এটি ছিল একটি উপযুক্ত পদক্ষেপ। চীনের উচিৎ সংযম চর্চা করা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কখনও উসকানি দেবো না। আমরা আমাদের ভূমি ও আমাদের জনগণকে রক্ষায় সঠিক কাজটিই করবো।’ এমন উত্তেজনার মধ্যেই অঞ্চলটিকে ১১০ কোটি ডলারের অস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাস বলেছে, হয় যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি বাতিল করতে হবে, নয়তো চীনের পাল্টা জবাবের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
দূতাবাসের মুখাপাত্র লিউ পেনগিউ বিবিসিকে বলেন, ‘এই চুক্তি ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যকার সম্পর্ককে চরমভাবে বিপদগ্রস্ত করবে। যদি সত্যিই তাইওয়ানে এই প্যাকেজ পৌঁছায়, সেক্ষেত্রে চীন অবশ্যই ন্যায্যভাবেই তার কঠিন জবাব দেবে।’