ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আমিন ভুঁইয়ার পদোন্নতি দেওয়া ৯৫ জন কর্মকর্তার মধ্যে ১৮ জনের পদোন্নতি বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে আট কর্মকর্তাকে দুই বার (ডাবল) পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। গত রবিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর ডিএসইর পর্ষদ সভায় ১৮ কর্মকর্তার পদোন্নতি বাতিলের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সভায় আট কর্মকর্তাকে ‘ডাবল’ প্রমোশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিএসইর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পদোন্নতি বাতিল করা হয়েছে এমন কর্মকর্তারা হলেন—সৈয়দ আল-আমিন রহমান, সাইদ মাহমুদ যোবায়ের, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন রেজা, মো. বজলুর রহমান, কামরুন নাহার, মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ পাঠান, মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, সৈয়দ ফয়সাল আব্দুল্লাহ, মোহাম্মদ আহসান হাবিব, ফারহানা শরিফা, সাদাত মারুফ হাসনায়েন, শরিফ গিয়াস উদ্দিন আলম, মশিউর রহমান চৌধুরী, মামুন-উর-রশিদ, আব্দুল লতিফ মিয়া, সফিকুল আলম এবং দেলোয়ার হোসেন।
অন্যদিকে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তা হলেন—ডেপুটি ম্যানেজার এ এইচ এম রাহাত আহমেদ ও সাহাদাত হোসেন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার নাজমুস সাকিব, এক্সিকিউটিভ অফিসার সাবিনা ইয়াসমিন, উত্পল চন্দ্র দেবনাথ, বদরুল আলম শাওন, রাজিব সরকার এবং ইমরান হোসেন।
এদিকে পদোন্নতি বাতিল করা কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা এ ব্যাপারে তাদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নীতিমালা ভেঙে এই পদোন্নতি বাতিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ডিএসইর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভুঁইয়া কাজে উদ্দীপনা ফেরাতে একযোগে ৯৫ জন কর্মকর্তার পদোন্নতি দিয়েছিলেন। এতে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের অনেক সদস্য তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। সংক্ষুব্ধ পরিচালকরা তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি মানতে না পেরে পদত্যাগ করেন তিনি। পরে বিএসইসিতে পাঠানো এক চিঠিতে তারিক আমিন ভুঁইয়া দাবি করেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন নীতিমালা মেনেই তিনি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়েছিলেন।