নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতার (১৪) খুনিদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে তাসনিয়া হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত ও দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে নোয়াখালীতে ক্রমাগত আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে মেয়েদের নিরাপত্তা, কিশোর গ্যাং বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংগঠক আবদুল আউয়াল, নারী অধিকার জোটের সভাপতি লায়লা পারভীন, সংগঠক মুনীম ফয়সল, সার্ভিস ফর হিউম্যান বিয়িং অর্গানাইজেশনের সভাপতি ফাহিদা সুলতানা, আলোকিত মানবিক অর্গানাইজেশনের সভাপতি পারভেজ মোল্লা প্রমুখ।
এ ছাড়া নোয়াখালী নাগরিক অধিকার আন্দোলন, নোয়াখালী সাইবার ওয়ারিয়র্স, নিরাপদ নোয়াখালী চাই, ড্রিম লাইট অব হেল্প সেন্টার, রয়েল ড্রিস্ট্রিক্ট নোয়াখালীসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন।
সার্ভিস ফর হিউম্যান বিয়িং অর্গানাইজেশনের সভাপতি ফাহিদা সুলতানা বলেন, তাসনিয়া হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধনে এসে আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার। এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য দ্রুত উদ্ঘাটনে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তাই বিক্ষোভ স্থগিত করেছি আমরা। কিন্তু এ মামলা পরবর্তীতে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হলে অথবা কোনোভাবে আসামিকে বাঁচানোর প্রচেষ্টা চালানো হলে আমরা আবারও আন্দোলনে নামব।
বক্তব্য শেষে মুজিব চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর লক্ষ্মীনারায়ণপুরের নিজ বাসায় তাসনিয়া হোসেন অদিতা (১৪) গলা ও হাতের রগ কেটে হত্যা করা হয়। রাত ৯টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত অদিতা নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর মহল্লার আবুল খায়ের পেশকার বাড়ির মৃত রিয়াজ হোসেনের মেয়ে তিনি। তার মা স্থানীয় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।