সিরাজগঞ্জে তীব্র গরমে ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। শিশুদের পাশাপাশি নারী ও পুরুষদের মধ্যেও এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। কিছু দিন ধরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অবস্থা চলছে।
বুধবার (১৩ জুলাই) স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও এলাকার ক্লিনিকগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সর্বত্র সর্দি জ্বরের রোগীর প্রচণ্ড ভিড়।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের আউট ডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এদের অধিকাংশই ঠাণ্ডা-জ্বরজনিত রোগী। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকগুলিতেও এ সংক্রান্ত রোগীই বেশি।
জানা যায়, জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন বয়সীদের মধ্যেও সর্দি-জ্বর, মাথাব্যথা, বমিসহ ডায়রিয়াজনিত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এই জ্বরে প্রচন্ড মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা ও বমি হয়।
সিরাজগঞ্জ শহরের মিরপুর এলাকাল পল্লি চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম বলেন, গত কিছু দিন ধরে এই জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
এখানে চিকিৎসা নিতে আসা হাসনা বেগম বলেন, গত ৩/৪ দিন ধরে তার শিশুর জ্বর হয়েছে, তাই ডাক্তারের কাছে ওষুধ নিতে এসেছি। তিনি আরো বলেন, তাদের আশপাশের অনেকেরই জ্বর দেখা দিয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা হালিমা বেগম বলেন, আমি গত দুই দিন যাবৎ ঠাণ্ডা-জ্বরে ভুগছি, তাই হাসপাতালে এসেছি ডাক্তার দেখাতে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, সিরাজগঞ্জে সর্দি-জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই এসব রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। ক্রমশ এর সংখ্যা বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, আবহাওয়াজনিত কারণে এখন সর্দি-কাশি-জ্বর হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার এই জ্বরের প্রকোপ অনেক বেশি। তীব্র গরমে বেশি হলে রোগীর মাথায় প্রচুর পানি ঢালতে হবে। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ মাত্রামতো খেলে ৩/৪ দিনের মধ্যে বেশির ভাগ রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন। সর্দিজ্বর প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।