কাতার বিশ্বকাপে তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মরক্কোর বিপক্ষে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করেছে ক্রোয়েশিয়া। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মাঠে নামে দু’দল। ম্যাচের শুরুতেই গোলের দেখা পায় ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ৭ মিনিটে ক্রোয়েশিয়াকা লিড এনে দেন জোস্কো গার্দিওল। তবে ম্যাচের ৯ মিনিটে গোল শোধ করে মরক্কোকে সমতায় ফেরায় আশরাফ দারি। এরপর ম্যাচের ৪২ মিনিটে ফের গোলের দেখা পায় ক্রোয়েশিয়া। মিসলাভ ওরাসিচের করা গোলে ২-১ গোলের লিড পায় ক্রোয়েশিয়া। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ক্রোয়েশিয়া।
ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে যায় ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে কর্নার পায় তারা। কর্নার থেকে সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। এরপর ম্যাচের ৭ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় ক্রোয়েশিয়া। ফ্রি কিক থেকে বাড়ানো বলে ইভান পেরিসিচ হেড করে বল দেন জোস্কো গার্দিওল। সেই বলে অসাধারণ হেডে বল জালে জড়ান জোস্কো গার্দিওল। তার গোলে ম্যাচে লিড পায় ক্রোয়েশিয়া।
তবে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। ম্যাচের ৯ মিনিটে গোল শোধ করে মরক্কো। ডান দিক থেকে বাড়ানো বলে হেড করে বল জালে জড়ান আশরাফ দারি। তার গোলে ম্যাচে সমতায় ফেরে মরক্কো। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে দু’দল। ম্যাচের ১৪ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন ইভান পেরিসিচ। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে বাম দিকে থেকে বাড়ানো বলে হেড করেন আন্দ্রেজ ক্রামরিক। তবে তা নিজের আটকে দেন মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বৌউনো। এরপর ম্যাচের ২৪ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ শট করেন লুকা মড্রিচ। তবে তা আবারও অসাধারণ সেভ করেন ইয়াসিন বৌউনো। ম্যাচের ২৯ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল নিয়ে বাম দিক থেকে ক্রস করেন আশরাফ হাকিমি। তবে তাতে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হয় ইউসুফ নাছেরি।
ম্যাচের ৩২ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় মরক্কো। তবে ডি বক্সের ভেতরে সোফিয়ান বাউফলের নেওয়া শট আটকে দেন জোসিপ স্ট্যানিসিচ। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে কর্নার পায় মরক্কো। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে হেড করেন নাসেরি। তবে তা চলে যায় পোস্টের সামান্য বাইর দিয়ে। এরপর ম্যাচের ৪২ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় ক্রোয়েশিয়া। সাজানো আক্রমণ থেকে বাম দিক থেকে অসাধারণ শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান মিসলাভ ওরাসিচ। তার ম্যাচে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া।
এরপর একাধিক আক্রমণ করে দু’দল। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ক্রোয়েশিয়া।