ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল বলেছেন, জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার ফলে ইউরোপকে ত্রিমুখী সংকট মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি রবিবার (২৮ আগস্ট) নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, অর্থনৈতিক, জ্বালানি ও খাদ্য সংকট আমাদের সবাইকে আক্রান্ত করতে যাচ্ছে। এই সংকটে যাতে পড়তে না হয় সেজন্য আমাদেরকে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বোরেল আরেক টুইটে লিখেছেন, আমাদেরকে একসঙ্গে একাধিক সংকট মোকাবিলা করার জন্য নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
গত ফেব্রুয়ারির শেষদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর মস্কোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো। তখন থেকে ইউরোপীয়রা রাশিয়ার গ্যাসের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা করছে, যাতে তাদের চেষ্টা সফল হলে রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায়।
কিন্তু রাশিয়া উল্টো নিজেই ইউরোপীয় দেশগুলোতে গ্যাস সরবরাহ ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছে এবং পশ্চিমা দেশগুলোতে আসন্ন শীতে জ্বালানি সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি রাশিয়া নিজের কোটি কোটি টাকার গ্যাস পুড়িয়ে ফেলছে বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল ত্রিমুখী সংকটের ব্যাপারে সতর্কবাণী উচ্চারণ করলেন।
পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও মস্কো কোনো অবস্থায় তার লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে সরে আসতে নারাজ। নিষেধাজ্ঞা আরোপের ছয় মাস পর রাশিয়ার শক্তিশালী অর্থনীতি পর্যালোচনা করে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করে রাশিয়া আগে থেকেই তা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। ফলে রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় মস্কো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বরং জোসেপ বোরেলের ভাষায় ইউরোপীয় দেশগুলোই এখন ত্রিমুখী সংকটের সম্মুখীন।