দৃঢ় প্রত্যাবর্তন করল টিম ইংল্যান্ড।তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৮ রানে হারিয়ে সিরিজে ফিরল ইংল্যান্ড। ম্যাঞ্চেস্টারে খেলা এই ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে ইংল্যান্ড দল সিরিজ ১-১ সমতায় ফেরাল।এদিন টসের আগে বৃষ্টি হয়,সেই কারণে ম্যাচ দেরিতে শুরু হয়েছিল।
বৃষ্টি থামতে পিচ পরিদর্শন করার পর আম্পায়ার ম্যাচটি ২৯ ওভারের করার সিদ্ধান্ত নেন।টস জিতে এদিন বাটলারদের ব্যাটিং করতে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা।প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড দল নির্ধারিত ২৯ ওভারও খেলতে পারেনি।মাত্র ২৮.১ ওভারে ২০১ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড।জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০.৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ৮৩ রান করে।
২০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।রিস টপলে ও উইলি দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডারকে নতজানু হতে বাধ্য করেন।মাত্র ৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার চার উইকেট।খাতাও খুলতে পারেননি মালান,দুসেন ও মার্করাম।মাত্র ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কুইন্টন ডি কক।২৭ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারানোর পর আফ্রিকার পরাজয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়।ক্লাসেন ও মিলার ইনিংস সামলানোর চেষ্টা করেন।কিন্তু ১৩ বলে ১২ রান করে স্যাম কুরানের শিকার হন মিলার।২৭ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় প্রোটিয়াদের অর্ধেক টিম।
এর পরে ক্লাসেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন।কিন্তু ক্লাসেন ৪০ বলে ৩৩ রান করে আউট হন।প্রিটোরিয়াসও ২৫ বলে ১৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।ক্যাপ্টেন কেশব মহারাজ ১ রান,নারকিয়া ৬ রান,লুঙ্গি খাতা না খুলেই আউট হয়েছেন।২০.৪ ওভারে মাত্র ৮৩ রানে গুটিয়ে যায় আফ্রিকার দল।ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এটি আফ্রিকার সর্বনিম্ন স্কোর।দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ পর্যন্ত ১১৮ রানে পরাজিত হয়।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৮.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে ইংল্যান্ড।ইংল্যান্ড প্রথম ধাক্কা পায় জেসন রয়ের ফর্মে।১৪ রান করে আউট হন তিনি।ইংল্যান্ড দল নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে এবং এর ফলে দলের স্কোর এক পর্যায়ে ১০০ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল।কিন্তু স্যাম কারানের ৩৫ এবং লিভিংস্টোনের ৩৮ রান ইনিংসকে সামলায়।দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছাতে সাহায্য করেন তারা।দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রিটোরিয়াস চারটি এবং নারকিয়া ও শামসি ২টি করে উইকেট নেন।এদিনের ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন স্যাম কারান।