ইরানের সাম্প্রতিক দাঙ্গা ও গোলযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সরাসরি জড়িত ছিল বলে দাবি করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়ে ইরানি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিদেশি মদতপুষ্ট এ দাঙ্গার সময় পর্দার অন্তরালের কিছু ঘটনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে তুলে ধরা হয়েছে।মন্ত্রণালয় বলেছে, গত কয়েক দিনের দাঙ্গার সময় ইসরাইলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও ইরানের ইসলামি বিপ্লববিরোধী গোষ্ঠীগুলোর বহু সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।হিজাব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক ২২ বছর বয়সি তরুণী মাহসা আমিনির নিরাপত্তা হেফাজতে অসুস্থ হয়ে পড়া এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুকে অজুহাত করে এ দাঙ্গা শুরু করা হয়। পরে সারা দেশে দাঙ্গা ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং দাঙ্গাকারীরা সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, পুলিশের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পশ্চিমা দেশগুলোর উসকানিতে এ দাঙ্গায় সরাসরি কিছু বিদেশি নাগরিকের পাশাপাশি সন্ত্রাসী মোনাফেকিন গোষ্ঠীসহ আরও কিছু বিপ্লববিরোধী গোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা অংশ নিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী বিগত দিনগুলোর দাঙ্গায় বিভিন্ন ধরনের গ্যাংসদৃশ গোষ্ঠী, বিদেশি গুপ্তচর সংস্থার এজেন্টদের পাশাপাশি আমেরিকা ও ব্রিটিশ সরকার এবং তাদের সৌদি অনুসারীদের সরাসরি সম্পৃক্ততার সম্মুখীন হয়েছে।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দাঙ্গায় উসকানি দেওয়ার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে সন্ত্রাসী মোনাফেকিন গোষ্ঠীর ৪৯ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর পাঁচ সদস্যকে ৩৬ কেজি বিস্ফোরকসহ আটক করা হয়েছে। এসব বিস্ফোরক দিয়ে জনসমাগম স্থলে বোমা হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
এ ছাড়া সাবেক শাহ সরকারের সমর্থক ৯২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, যারা দাঙ্গা সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল। আটক বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে জার্মানি, পোল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও সুইডেনের ৯ জন নাগরিক রয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।