দানবের ছায়া
ধর্ষক তুমি মানুষ!
তোমাকে মানুষ ভাবতেই ঘৃণায় গা শিউড়ে উঠে।
তোমার রক্ত কি লাল
তুমি কি শোনো নিপীড়িত আর্তনাদ
কীসের এত বিকৃত উল্লাস তোমার ?
চিৎকার চাপা পড়ে দেয়ালের ফাঁকে
তুমি মানুষের মুখোশ পরা দানব !
তোমার স্পর্শে ঝলসে যায় সততা
তুমি অন্ধকারের অভিশাপ।
স্বপ্ন ভাঙে রক্তের দাগে।
পাপের অন্ধকারে ডুবে থাকা
অন্ধকারই কি তোমার ঠিকানা?
ধর্ষক তুমি কি আনন্দিত ধর্ষণে
তোমার মগজের চিন্তার কুরুচির বহিঃপ্রকাশ
স্তম্ভিত লজ্জিত মনুষ্যত্ব মূল্যবোধ নৈতিকতা।
কেন করো তুমি অমানবিক হিংস্রতা
আতঙ্ক, লজ্জা, ব্যথার দলা—
কিছুই কি ছোঁয় না তোমার অন্তর?
শুনতে পাও না বিবাগী আত্মার আর্তনাদ ?
একটি প্রাণের চিৎকার, একটি স্বপ্নের মৃত্যু,
তবু কি সুখ খুঁজে পাও সেই নিষ্ঠুরতা ?
রক্তে ভেজা শরীর কি শান্তি দেয় তোমায় ?
অশ্রু-ভেজা চোখ কি কখনো তাড়া দেয় না ?
ভোরের আলোয় আয়নায় তাকিয়ে দেখো,
সেখানে কি মানুষ, নাকি দানবের ছায়া?
হাসতে ভুলে গেছি
হাসতে ভুলে গেছি
চারিপাশে খুন, ধর্ষণ, হত্যা,গুম, অগ্নি সংযোগ আর
সিন্ডিকেটদের দৌরাত্ব দেখে।
আমি স্তম্ভিত,আমি বাকরুদ্ধ
চোখের কোণে নোনা জলের বর্ষণ।
ঠোঁট দুটো সেঁলাই করা,হাতে-পায়ে শিকল পরা
স্বপ্নগুলো জ্বলছে ধুঁকে ধুঁকে,
নাই কোনো অভিযোগের অধিকার!
বিবেকের শূন্যতা
মানুষগুলো আজ শুধুই সংখ্যা।
প্রতিবাদ নিভে যায় ক্ষমতার থাপে ,
ভয় আর শাসনে শিকল পরানো,
সত্যের পথ আজ আঁধারে হারায়।
রক্তে রঞ্জিত শহর-গ্রামের মেঠো বুক
স্বাধীনতা আজ লুটেরাদের হাতে।
তবু ও খুঁজি এক টুকরো আলো
অন্ধকারে জ্বলবে আশার প্রদীপ।
লড়াইয়ের অপেক্ষায় এখনো চুপ
বুকে জমা ক্ষোভের সঞ্চয়
জেগে উঠবে ভাঙবে অন্যায়ের এই প্রাচীর।