জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে বাঁচাতে পারতেন দেহরক্ষীরা―নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা তেমনটাই দাবি করছেন।তাঁদের যুক্তি,আবেকে লক্ষ্য করে ছোড়া প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভেদ করেনি।আর লক্ষ্যভেদ করা দ্বিতীয় গুলিটি ছোড়া হয় আড়াই সেকেন্ড পর।ওই আড়াই সেকেন্ডের মধ্যে আবেকে আড়াল করে দাঁড়ালে বা ওই অবস্থান থেকে সরিয়ে নিতে পারলে বেঁচে যেতেন তিনি।সেদিনের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এই রায় দিয়েছেন আট নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ।
কঠোর আগ্নেয়াস্ত্র আইনের দেশ জাপানে ঘরে তৈরি অস্ত্র দিয়ে আবেকে হত্যার ঘটনায় বিস্মিত হয় দেশবাসী। নিরাপত্তা ত্রুটির দায় স্বীকার করে নেন জাপানের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।পুলিশ জানায়,তাদের অনুসন্ধান চলছে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ছাড়াও ছয় প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলা এবং অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিও পরীক্ষার পর সংবাদমাধ্যম রয়টার্স উল্লেখ করেছে,সেদিন ৬৭ বছর বয়সী আবে যখন সড়কের ট্রাফিক আইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখছিলেন,তখন তাঁর পেছনের দিকটিতে কোনো প্রহরা বা সুরক্ষা ছিল না।
এমনকি আবের নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিতরা আততায়ী তেতসুইয়া ইয়ামাগামিকে (৪১) কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই সাবেক জাপানি প্রধানমন্ত্রীর মাত্র কয়েক মিটারের দূরত্বের মধ্যে আসতে দিয়েছিলেন।এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী থাকাকালীন জো বাইডেনকে নিরাপত্তা সেবা দানকারী গ্লোবাল থ্রেট সলিউশনের প্রধান কেনেথ বমবাস বলেন,তাদের উচিত ছিল আক্রমণকারীর অত্যন্ত ইচ্ছাকৃতভাবে প্রধানমন্ত্রীর দিকে হেঁটে আসার বিষয়টি লক্ষ করা এবং তাকে থামানো।প্রথম গুলি চালানোর আগ মুহূর্তে আবে ও ইয়ামাগামির মধ্যকার দূরত্ব ছিল ২৩ ফুট বা সাত মিটার।সেই গুলিটি লক্ষ্যভেদ করেনি।এরপর আরেকটু এগিয়ে দ্বিতীয় গুলিটি করেন ইয়ামাগামি। তখন দূরত্ব ছিল পাঁচ মিটারের মতো,কিন্তু সে সময় আবের দেহরক্ষীরা তাঁকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাবলয় গড়েননি বলে উল্লেখ করেছেন সাবেক নেভি সিল ও বর্তমান সিআইএ কর্মকর্তা জন সলটিস।তিনি আরো বলেন,ভিড়ের মধ্যে তাঁদের নজরদারির কোনো ব্যবস্থাই ছিল না।আবের বদলে আততায়ীর দিকে ছুটে গিয়েছিলেন তাঁরা।