বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেরই হাড় ক্ষয় সমস্যা দেখা দেয়। তবে আজকাল জীবনযাপন পদ্ধতি, খাদ্যাভাসের কারণে অল্পবয়সে হাড় ক্ষয়ে যাওয়া বা অস্টিওপোরোসিস রোগ দেখা দিচ্ছে। এ ছাড়াও দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় একই ভঙ্গিতে বসে কাজ, ঘরের কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার, নিয়মিত শরীরচর্চার অভাবের কারণেও শরীরে অস্টিওপোরোসিস বাসা বাঁধছে।
অনেকেরই ধারণা, হাড়ের জন্য কিছু ক্যালসিয়াম ওষুধ খেলেই যত্ন নেওয়া হয়ে যায়। এটা ঠিক নয়। বরং দীর্ঘদিন ক্যালসিয়ামের ওষুধ খেলে কিডনিতে পাথরও হতে পারে। তাই ওষুধে ভরসা না করে খাবারদাবারে আস্থা রাখাই ভালো। হাড় সুস্থ রাখতে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, বোরন, ম্যাগনেশিয়াম, স্ট্রনটিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম-যুক্ত খাবার খাওয়াসাধারণত, দুগ্ধজাত খাবার থেকে শরীর অনেকটা ক্যালসিয়াম পায়। তাই দুধ, চিজ, ছানা, মাখন, দই অবশ্যই ডায়েটে রাখতে হবে। ল্যাকটোজে সমস্যা থাকলে সরাসরি দুধ না খেয়ে ছানা বা পনির খান। এ ছাড়াও বিভিন্ন ফল ও শাকসবজি, তেলযুক্ত সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন ডি থাকে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এসব খাবার রাখতে হবে।
এছাড়াও হাড় সুস্থ রাখতে যা করণীয়-
শরীরচর্চা : পেশির শক্তি বাড়ে এমন কিছু ব্যায়াম এক্ষেত্রে জরুরি। হাঁটুর সমস্যা ইতিমধ্যেই শুরু না হলে দৌড়, হাঁটাহাঁটি স্কিপিংয়ের মতো শরীরচর্চা করতে পারেন। সাঁতার বা নাচ দুই-ই ভাল ব্যায়াম। তবে যারা ইতিমধ্যেই হাঁটুর ব্যথায় ভূগছেন তারা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে
রোদ পোহানো : যারা অস্টিওপোরোসিসের সমস্যায় ভুগছেন তাদের প্রতি দিন অন্তত ২০ মিনিট রোদ পোহানো দরকার। সূর্যের আলো প্রবেশ করলে শরীরে ভিটামিন ডি এর মাত্রা বাড়ে। অস্টিওপোরোসিসের রোগীদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি বেশ জরুরি। হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি।
ব্যায়াম করবেন। প্রয়োজন।