দেশের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার টরন্টোতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হবার পর এখনও হাসপাতালে চিকিৎসকদের গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
একাধিক সূত্রে প্রাপ্ত খবর থেকে জানা গেছে, দীর্ঘ আট মাস যাবৎ হাসপাতালে নিবিড়ের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে এবং স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবার সম্ভাবনা খুবই কম।
প্রথমতঃ এখনও সে কথা বলতে পারছে না। দ্বিতীয়তঃ মেরুদন্ড ভেঙ্গে যাওয়ায় সে আর স্বাভাবিক ভাবে বসতে বা দাঁড়াতে পারছে না। তৃতীয়তঃ তার শরীর চার ভাগের তিন ভাগই পোড়া।
দুর্ঘটনার পর প্রথমে টরন্টো ওয়স্ট টার্ণ হাসপাতাল পরে সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে নেয়া হয়। এখন মাইকেল গেরন হাসপাতালে রয়েছেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে তার মস্তিষ্কে, পাকলস্থলিতে, মেরুদণ্ডে একাধিক সার্জারি করা হয়েছে। তবু শারীরিক উন্নতির লক্ষণ নেই।
এদিকে কুমার বিশ্বজিত একমাত্র ছেলে নিবিড়ের জন্য বেশির ভাগ সময় টরন্টোস্থ ডাউন টাউনে এক বন্ধু কন্ডোতে থাকেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।
গত মাসে কানাডায় তিন তিনটি ফোবানা অনুষ্ঠিত হলো। এক ফোবানায় কুমার বিশ্বজিতকে সঙ্গীতের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন নি বলে বিশ্বস্থ সূত্রে প্রকাশ।
গত ১৩ ফেরুয়ারি রাত সাড়ে ১১টায় ডানডাস স্ট্রিট ওয়েস্ট থেকে হাইওয়ে ৪২৭–তে উঠার সময় সড়ক ডিভাইডারে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি উল্টে আগুন ধরে যায়। দুই জন গাড়ির ভেতরেই মৃত্যুবরণ করে এবং একজন হাসপাতালে মারা যায়। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে চারজন আরোহী ছিলেন। তারা সবাই বাংলাদেশ থেকে আসা ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট। নিহত দীপ্ত (২০) টরন্টোর হাম্বার কলেজ, শাহরিয়ার (১৭) জর্জ ব্রাউন কলেজ এবং শ্রেয়া (১৭) ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টোতে পড়াশোনা করতো। আর কন্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় (২১) পড়তো সেনেকা কলেজে।