সংবাদমাধ্যমটি মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার দিকে উদ্ধার অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানায়। উদ্ধারকৃত শ্রমিকদের টানেলের ভেতরই একটি অস্থায়ী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
১২ নভেম্বর থেকে আটকে থাকা শ্রমিকদের বের করে আনতে ৬০ মিটার লম্বা একটি পাইপ স্থাপন করা হয়েছে। এই পাইপের মধ্যে দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি চাকাচালিত স্ট্রেচারে করে শ্রমিকদের বাইরে নিয়ে আসা হচ্ছে। দীর্ঘ ১৭ দিনের দুঃস্বপ্নময় এক যাত্রার পর বাইরে আলোর মুখ দেখছেন এসব শ্রমিক।
উদ্ধারকারী দলগুলো জানিয়েছে, পাইপ স্থাপনের শেষ যেসব কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করা হয়েছে। নিষিদ্ধ ‘র্যাট-হোল’ কৌশল ব্যবহার করে পাইপ স্থাপনের সর্বশষ পর্বটি সম্পন্ন করা হয়েছে। এর আগে আমেরিকার তৈরি অগার ড্রিলিং মেশিন ব্যবহার করে ড্রিল করে পাইপের বেশিরভাগ অংশ বসানো হয়েছিল। কিন্তু গত শুক্রবার মেশিনটি ভেঙে গেলে ‘র্যাট-হোল’ মাইনিং সম্পর্কে জানা ব্যক্তি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাকি কাজটি সম্পন্ন করেন।
এর আগে টানেলের উদ্ধার অভিযানের সমন্বয়ক ও জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সদস্য লেফটেনেন্ট জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ আতা হাসনাইন বলেছিলেন, তারা শ্রমিকদের উদ্ধারের কাছাকাছি চলে এসেছেন। কিন্তু পুরো উদ্ধার অভিযান শেষ হতে বুধবার সারারাত লাগতে পারে।
তবে তিনি সারারাতের কথা বললেও ওই সময় শ্রমিকদের বরণ করে নেওয়ার সব প্রস্তুতি নিতে দেখা গিয়েছিল। যার মধ্যে ছিল জরুরি চিকিৎসা সেবাও।
শ্রমিকদের বের করার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায় সেজন্য টানেলের ভেতর একটি অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া তাদের জন্য অক্সিজেন সেবাযুক্ত ৪১ বেডের একটি হাসপাতালও প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।