বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের চলমান দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচে বোলারদের রাজত্ব চলছে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। আরেকটু পরিষ্কারভাবে বললে স্পিন বোলারদের। এর সঙ্গে রয়েছে বৃষ্টি বাঁধাও। এরপর সাদা পোশাকে এক ঝড়ো ইনিংস খেলেছে কিউই ব্যাটার গ্লেন ফিলিপস। তার কল্যাণে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৮ রানের লিডও পেয়েছে সফরকারীরা।
তৃতীয় দিন শেষে তিনি এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। এ সময় এসে তিনি জানান তাদের এই ম্যাচের ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা। গতকাল মাঠে মোটে ৩ ঘণ্টাও খেলা হয়নি। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের পাঁচ উইকেটের পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশেরও চলে গিয়েছে দুই উইকেট। এই ইনিংসে কিউইরা স্বাগতিকদের আটকাতে চান ২০০ রানের নিচে। তাহলেই লড়াইটা জমিয়ে তুলতে পারবেন বলে মনে করেন ফিলিপস।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথম ইনিংসে আমাদের শুরুটা ভালো ছিল না এবং বাংলাদেশের ছেলেরা ভালো খেলেছে। দুর্দান্ত বেশ কয়েকটি ক্যাচও নিয়েছে। যেটা আমাদের দ্রুতই ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। আমার মনে হয় যদি পিচ বদলে না যায়, কাভারে ঢাকা থাকার কারণে এটা এরকমই থাকার কথা পুরো ম্যাচ জুড়ে। তাহলে আমি বলবো হয়তো ১৮০-২০০ এর কাছাকাছি যে কোনো কিছু ভালো রান। কারণ এটি তাড়া করা কঠিন হবে। করা হয়তো অসম্ভব না কিন্তু এখানে এই রান করতে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আমাদের পরিকল্পনায় খুব ভালোভাবে স্থির থাকতে হবে। কিন্তু যদিও আমরা চাইব তাদের ২০০ রানের নিচে আটকে রাখতে। আর এটা পারলেই আমরা খুশি হবো।’
এর আগে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করতে নেমে ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারায় সফরকারীরা। এরপর দ্বিতীয় দিন বৃষ্টির কারণে মাঠে নামতে পারেনি। গতকাল তৃতীয় দিনও খেলা শুরু হয় দেরিতে। আর ব্যাট হাতে নেমেই বাংলাদেশের ১৭২ রান পেরিয়ে প্রথম ইনিংসে কিউইরা লিড পেয়েছে ৮ রানের। যা ফিলিপসের লাল বোলে ঝড়ো ইনিংসের কল্যাণে পেয়েছে তারা।
৯ চার ও ৪টি ছক্কায় ৭২ বলে ৮৭ রান করেন তিনি। যদিও তিনি এই ইনিংস খেলে শরিফুলের বলে আউট হওয়ার ধরন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অসন্তস প্রকাশ করেন। জানান, যেই বলে তিনি আউট হয়েছেন সেই সময় সাইট স্ক্রিনের পাশ দিয়ে কেউ একজন হেঁটে যাচ্ছিলেন আর সেটি তার বোলারের প্রতি মনোযোগ নষ্ট করে আর যখন তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেন ততখনে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।
ফিলিপস বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে শরিফুল যখন তার ডেলিভারি শুরু করছিল তখন, একজন সাইট স্ক্রিনের সামনে চলে আসে। আমার সরে যাওয়া উচিত ছিল, এটা আমার মাথাতেও ছিল। কিন্তু তখন হয়তো কিছুটা দেরি হয়ে গেছে। আমি এরপর বল দেখিনি আর সরেও যাইনি এবং শেষমেশ বলে খোঁচা দিয়ে ফেলি।’
এ সময় দিনের শুরুতে নিজের পরিকল্পনার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার চিন্তা ছিল যত বেশি সম্ভব বল ব্যাটে খেলা। ব্যাট হাতে প্রভাব রেখে যাওয়া। বুঝতে পারছিলাম তারা ভালো বল করবে। আমি প্রতিআক্রমণে কী করতে পারি সেটাই করতে চাইছিলাম। আমার মনে হয় যতটা সম্ভব আমার খেলার পরিকল্পনায় স্থির থাকতে চাইছিলাম। এটাও মেনে নিয়েছিলাম কিছু বল টার্ন করবে আর বাউন্সে অসমতা থাকবে, ওগুলোতে ধরা দেওয়া যাবে না। আর চেষ্টা করছিলাম যতটা সম্ভব শান্ত থাকতে।’