প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষেই বোঝা যাচ্ছিল ম্যাচের ভবিষ্যত্ কি হতে যাচ্ছে। প্রত্যাশা মতোই চতুর্থ দিনের শুরুতেই সিরিজের প্রথম টেস্টে বড় ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। আর এ জয়ে বড় অবদান রয়েছে দুই বুড়ো বোলারের। স্টুয়ার্ট ব্রড এবং জেমস অ্যান্ডারসনের অগ্নিঝরা বোলিংয়ে সহজেই কিউইদের দুমড়ে-মুচড়ে একাকার করে দেয় ইংলিশরা।
এদিকে এ জয়ে ২০০৮ সালের পর সাদা পোশাকে আবার জয়ের মুখ দেখলো ইংল্যান্ড। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে, নেপিয়ারে সেই জয়ের ম্যাচে একাদশে ছিলেন অ্যান্ডারসন-ব্রড। এছাড়া বিদেশের মাটিতে দিবা-রাত্রির টেস্টে এটাই প্রথম জয় ইংল্যান্ডের।
এদিন ৫ উইকেটে ৬৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। তবে প্রথম সেশনেই বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। কিউইদের হয়ে এক প্রান্ত আগলে রেখে ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন ড্যারিল মিচেল। কিন্তু তা শুধু জয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। এ ইনিংসে অ্যান্ডারসন ১০.৩ ওভারে ১৮ রানে ৪টি ও ব্রড ১৫ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
এর আগে ইংল্যান্ড ৯ উইকেটে ৩২৫ রান তুলে তাদের প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। বেন ডাকেট ৮৪, হ্যারি ব্রুক ৮৯, ও ওলি পোপ ৪২ রান করেন। ওয়াগনার ৪ উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ৩০৬ রান তোলে। টম ব্লান্ডেল ১৩৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। ওলি রবিনসন ৪ ও জেমস অ্যান্ডারসন ৩ উইকেট দখল করেন। প্রথম ইনিংসের ১৯ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। ৩৭৪ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় তারা। এতে ৩৯৪ রানের টার্গেট পায় নিউজিল্যান্ড। তবে ইংল্যান্ডের বোলিং তাণ্ডবে ১২৬ রানেই গুটিয়ে যায় কিউইরা। সিরিজের প্রথম টেস্টেই ২৬৭ রানের বড় জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড।