অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে প্রতিষ্ঠিত একটি বিশেষ আদালত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের সাইফার মামলার বিচারিক রিমান্ড বাড়িয়েছে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই মামলার শুনানি বুধবার অ্যাটক জেলা কারাগারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
শুনানি পরিচালনা করতে কারাগারে এসেছিলেন বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন। তিনি সাইফার মামলায় এই সিদ্ধান্ত জারি করেছেন। কথিত সাইফার (ফাঁস হওয়া রাষ্ট্রীয় গোপন নথি) গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে রাজনৈতিক সমাবেশে দেখিয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তিনি সেটি হারিয়ে ফেলেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
এদিকে ৫ আগস্ট তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রাপ্ত উপহারগুলোর হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এক দিন আগে তাকে ১ লাখ রুপি জরিমানা দিয়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় বাতিল করেছে। এই রায় দিয়েছিল নিম্ন আদালত। পাশাপাশি ইমরান খানকে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতেও বাধা দিয়েছিল।
এফআইএ আনুষ্ঠানিকভাবে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে চলতি মাসের শুরুর দিকে সাইফার মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল। পরবর্তীকালে, পিটিআই প্রধানকে সাইফার মামলায় ৩০ আগস্ট (বুধবার) পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় রিমান্ডে পাঠানো হয়। এসময় তিনি অ্যাটক কারাগারে ছিলেন।
বুধবারের শুনানিতে প্রসিকিউটর জুলফিকার নকভি ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) প্রতিনিধিত্ব করেন এবং পিটিআইয়ের আইনজীবী সালমান সাফদার খানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। পিটিআই প্রধানের কৌঁসুলি পরে একটি উন্মুক্ত আদালতে মামলার শুনানির অনুরোধসহ গ্রেপ্তার-পরবর্তী জামিনের আবেদন করেন।