বানের পানিতে ভেসে যাচ্ছিলেন দুই ব্যক্তি। পাড়ে দাঁড়িয়ে অনেক মানুষ এ দৃশ্য দেখছেন, কিন্তু কেউ-ই দুই ব্যক্তিকে বাঁচাতে এগোলেন না।
কোলের সন্তানকে মাটিতে রেখেই খরস্রোতা নদীতে ঝাঁপ দিলেন তিনি। তার পর কোনো রকমে একজনের প্রাণ বাঁচালেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে ভোপালে।
পানিতে ঝাঁপ দিয়ে একজনের প্রাণ বাঁচিয়েছেন রবিনা নামে ৩২ বছর বয়সি ওই সাহসী নারী। তবে অপর ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে না পারায় আফশোস তার।
রবিনাকে সম্মানিত করেছে পুলিশ। ৩২ বছর বয়সি ওই নারীর সাহসিকতার তারিফ করেছেন অনেকেই। তাকে সম্মানিত করেছেন নাজিরাবাদের এসএইচও (স্টেশন হাউস অফিসার)।
খাজুরিয়া গ্রামে সয়াবিনের খেতে রাসায়নিক স্প্রে করতে গিয়েছিলেন দুই কৃষক জিতেন্দ্র ও রাজু আহিরওয়ার। সেখানে একটি খরস্রোতা নদী রয়েছে। এটি পার হওয়ার সময় স্রোতের তোড়ে তারা ভেসে যান।
সেই সময় ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন রবিনা। তার কোলে ছিল শিশুপুত্র। রাজু ও জিতেন্দ্রকে ডুবতে দেখে মাটিতে সন্তানকে রেখেই খরস্রোতা নদীতে ঝাঁপ দেন রবিনা।
তার পর সাঁতরে জিতেন্দ্রকে উদ্ধার করে আনেন। পরে আবার ঝাঁপ দিয়ে রাজুকে উদ্ধার করতে খালে নামেন রবিনা। কিন্তু ততক্ষণে জলের তোড়ে ভেসে গেছেন রাজু। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রাজুকে বাঁচাতে না পারায় আক্ষেপ করেছেন রবিনা। তিনি বলেন, ‘ওখানে আরও অনেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন দুজন মানুষ ডুবে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ-ই সাহায্য করলেন না। তাদের মধ্যে আর কেউ যদি সাহায্য করতেন, তা হলে দুই ব্যক্তিকেই বাঁচানো যেত।’