দুবলার আলোরকোলে আগামীকাল শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তিন দিনের রাস উৎসব। ইতোমধ্যে নির্বিঘ্নে উৎসব পালনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পূজা অর্চনার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে অস্থায়ী মন্দির।
দুবলার রাস উৎসব উদ্যাপন কমিটির সভাপতি ও দুবলা ফিশারমেন গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ মোবাইল ফোনে বলেন, শনিবার দুবলার আলোরকোলে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের তিন দিনের রাস উৎসব। সুন্দরবন বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় নির্বিঘ্নে রাস উৎসব পালনের সব প্রস্ততি শেষ করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে পুণ্যার্থীদের পূজা-অর্চনার জন্য অস্থায়ী মন্দির। ২৭ নভেম্বর সকালের জোয়ারে বঙ্গোপসাগরের নোনাজলে পুণ্যার্থীদের গঙ্গা স্নানের মধ্য দিয়ে রাস উৎসব শেষ হবে। রাস উৎসবে অংশ নেওয়ার জন্য বাগেরহাট, খুলনা, ফরিদপুর, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, চট্রগাম, ঢাকাসহ দেশ বিদেশের হাজার হাজার পুণ্যার্থী দুবলার আলোরকোলে সমবেত হবেন বলে জানান তিনি।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আলোরকোলে যাওয়ার জন্য সুন্দরবন বিভাগ পাঁচটি রুট নির্ধারণ করেছে। শুধু সনাতন ধর্মের লোকদের আলোরকোলে যাওয়ার জন্য বনবিভাগ থেকে পাশ (অনুমতিপত্র) দেওয়া হবে। অন্য ধর্মের লোকদের রাস উৎসবে যেতে দেওয়া হবে না।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহবুব হাসান বলেন, দুবলার রাস উৎসবে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের বিভিন্ন অফিস থেকে পূণ্যার্থীদের ২৪ নভেম্বর থেকে পাশ দেওয়া শুরু হবে। পুণ্যার্থীদের সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে নদীপথে আলোরকোলে নিরাপদ যাতায়াতে ও হরিণ শিকার বন্ধে বনরক্ষীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ও নজরদারি থাকবে। যাতায়াত পথে কেউ যাতে সুন্দরবনে প্রবেশ না করে, সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে এসিএফ জানিয়েছেন।