সাবেক ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার এবং ফ্রান্সের ফুটবল কিংবদন্তি মিশেল প্লাতিনি দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তাদের দুজনকেই নির্দোষ বলে রায় দিয়েছেন সুইস আদালত।
সুইজারল্যান্ডের আদালতে উপস্থিত হয়ে রায় শোনার পর ব্লাটার বলেন, ‘আমি আমার জীবনের সবকিছুতে নির্দোষ নই। তবে এই ক্ষেত্রে আমি নির্দোষ।’রায়ের পর প্লাতিনি বলেছেন, ‘আমি আমার সকল প্রিয়জনের জন্য আমার আনন্দ প্রকাশ করতে চাই। সাত বছরের মিথ্যা ও কারসাজির পর অবশেষে সঠিক বিচার হয়েছে। আমার লড়াই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আমি প্রথম ম্যাচে জিতেছি।
২০১১ সালে সেপ ব্ল্যাটার ফিফার প্রধান থাকাকালীন মিশেল প্লাতিনিকে ১৬ লাখ ইউরো দেওয়ায় ‘অনৈতিক অর্থপ্রদানের’ অভিযোগে অভিযুক্ত হোন দুইজনেই। যার জন্য ২০১৫ সালে ফিফার সাবেক প্রেসিডেন্ট ব্ল্যাটার এবং উয়েফার সাবেক প্রধান প্লাতিনিকে ৮ বছরের জন্য ফুটবল সংক্রান্ত সকল কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।
২০১৫ সাল থেকে ৭ বছর কেটে যাওয়ার পর জানা গেল, সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো দোষই নেই ব্ল্যাটার কিংবা প্লাতিনির। বরং সেই অর্থ প্লাতিনির প্রাপ্য ছিল। বেতন বাবদ ফিফা থেকে সেই অর্থ পেতেন ফরাসি ফুটবলের কিংবদন্তি প্লাতিনি। এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
এ প্রসঙ্গে ব্লাটার জানান, প্লাতিনিকে মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতে টাকা দেয়া হয়েছিল। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সে ফিফা পরামর্শদাতা ছিল। কিন্তু সে সময় সংস্থার আর্থিক সঙ্কটের কারণে তার বেতনের পুরোপুরি অর্থ শোধ করা সম্ভব হয়নি। যেটা পরবর্তীতে পরিশোধ করা হয়েছে। ফিফার অনুমোদনেই এটি হয়েছে বলে দাবি তার।
প্লাতিনি মনে করেন, তাকে ফিফা সভাপতি হওয়ার লড়াই থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্যই এসব কারসাজি করা হয়েছিল। উয়েফায় প্লাতিনির ওই সময়ের জেনারেল সেক্রেটারি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো পরে ২০১৬ সালে নির্বাচনে জিতে ফিফার সভাপতির দায়িত্ব নেন। এখনও তিনিই আছেন ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার প্রধানের পদে।
‘